জনি বেয়ারস্টোর বিতর্কিত আউটই লর্ডস টেস্টের আলোচনা এখনো জিইয়ে রেখেছে। বহুল আলোচিত এই টেস্টের পক্ষে বিপক্ষে চলছে অনেক কথাবার্তা। এটাই ইংল্যান্ডকে অ্যাশেজে অনুপ্রাণিত করবে বলে মনে করেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।
গত পরশু ছিল লর্ডসে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিন। প্রথম সেশন শেষ হতে না হতেই বেয়ারস্টোর বিতর্কিত আউট। ইংলিশ এই ব্যাটারের আউটই যেন তাতিতে দেয় বেন স্টোকসকে। ২১৪ বলে ১৫৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড হেরে যায় ৪৩ রানে। অ্যাশেজে ইংলিশরা এখনো পিছিয়ে ২-০ ব্যবধানে। এখান থেকে ইংল্যান্ডের ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন টেস্ট দলের কোচ ম্যাককালাম, ‘আমি মনে করি, এটা (বেয়ারস্টোর আউট) প্রভাব ফেলবে। আমার মতে করা উচিত। এই সিরিজে আমরা ঘুরে দাঁড়াব বলে বিশ্বাস করি। আমাদের ফোকাসও তাই হওয়া উচিত। ইংল্যান্ডের ড্রেসিংরুমের বন্ধন বেশ শক্ত এবং অধিনায়ক, ব্রডি (স্টুয়ার্ট ব্রড) ও ছেলেদের লড়াই আমরা দেখেছি।’
ইংল্যান্ডের ইনিংসের ৫২ তম ওভারের শেষ বলে ক্যামেরুন গ্রিনের বাউন্সার সামাল দিতে নিচু হয়ে বসে পড়েন বেয়ারস্টো। ইংল্যান্ডের এই মিডল অর্ডার ব্যাটার স্বাভাবিকভাবে ক্রিজ থেকে বেরিয়ে আসেন সতীর্থ স্টোকসের সঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু মুহূর্তে বল ছুড়ে স্টাম্প ভাঙেন অস্ট্রেলিয়ান উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি। বেয়ারস্টোর আউটের পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। লর্ডসের গ্যালারি থেকে আসতে থাকে দুয়োধ্বনি। লং রুমে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের সঙ্গে এমসিসির সদস্যদের কথা কাটাকাটি হয়েছে। স্টোকসের কার্টুনও ছাপা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ‘দ্য ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ান’ পত্রিকায়। বেয়ারস্টোর রানআউট বিতর্ক নিয়ে অ্যাশেজ যুদ্ধে যোগ দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও। এসব দেখে ম্যাককালাম হতাশা প্রকাশ করেছেন, ‘এটা লজ্জাজনক যে লর্ডসে পূর্ণ গ্যালারিতে হওয়া এই ম্যাচ পুরো বিশ্ব দেখে। গত দুদিন ধরে এটা নিয়েই বেশ আলোচনা হচ্ছে। বেশ হতাশাজনক।’