বাংলাদেশ ক্রিকেটে বিদেশি কোচদের তালিকাটা একেবারে ছোট নয়। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, জেমি সিডন্স, ফিল সিমন্স, মুশতাক আহমেদ, রাসেল ডমিঙ্গো, শন টেইটসহ আরও অনেকেই আছেন। তবে ওয়াসিম আকরামের কাজ করা হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে। এবার বোর্ডের পক্ষ থেকে পাকিস্তানি কিংবদন্তি ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে।
দুবাইয়ে গত মাসে আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়াসিম আকরাম জানিয়েছিলেন, তিনি বাংলাদেশকে বড্ড মিস করেন। এমনকি স্বল্প মেয়াদে হলেও বিসিবিতে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারের এক মাস পেরোনোর পর দেখা যাচ্ছে আশার আলো। মিরপুরে গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। তখন তাঁর কাছে প্রশ্ন এসেছে, ওয়াসিম আকরাম নাকি বাংলাদেশ দলের সঙ্গে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতে চান। উত্তরে বুলবুল বলেন, ‘আমি তো এ ধরনের কথা (বিনা পারিশ্রমিকে ওয়াসিম আকরামের কাজ করার কথা) শুনিনি। কিন্তু তার মতো ক্রিকেট মেধা, পেস বোলার হিসেবে না—ক্রিকেট বিশ্বেই কম আছে। আমার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ হয়েছে। কথা বলে দেখব যদি আমাদের জন্য সুবিধা হয়।’
মিরপুরে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জিতেছিল ৭৪ রানে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে কৌশলগত কিছু জায়গায় ভুল করায় মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সেটা পারেনি। সুপার ওভারে হারের পর হয়েছিল অনেক সমালোচনা। সেই সমালোচনার জবাব মিরাজ-সাইফ হাসানরা দিলেন মাঠে। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৭৯ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের পথটা একেবারে মসৃণ ছিল না বাংলাদেশের জন্য। মিরপুরের কালো মাটির উইকেটে প্রথম দুই ওয়ানডেতে রানের জন্য কী পরিমাণ সংগ্রাম করতে হয়েছে, সেটা সকলেরই জানা। স্কোরবোর্ডে সেই দু্ই ম্যাচে ২০০ রান তুলতে পেরেছিল মূলত রিশাদ হোসেনের শেষের দিকের ক্যামিওতে। গতকাল তো সৌম্য সরকার-সাইফের উদ্বোধনী জুটির ১৭৬ রানই করতে পারেনি পুরো ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। বাংলাদেশ যে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তাতে মুগ্ধ বুলবুল,‘তারা আজ ভালো ক্রিকেট খেলেছে। সবচেয়ে বড় জিনিসটা যে চোখে পড়েছে, গত দুই ম্যাচে বিশেষ করে গত ম্যাচের আত্মবিশ্বাসের যে অভাবটা ছিল, একটা দল হারার পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল। বাংলাদেশ যে দারুণ দল, সেটা তারা প্রমাণ করে দেখাল।’
ওয়ানডে সিরিজ শেষে এখন বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ মুখোমুখি হবে সাদা বলের আরেক সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে। ২৭, ২৯ ও ৩১ অক্টোবর হবে তিন টি-টোয়েন্টি। তিনটি ম্যাচই হবে চট্টগ্রামে।