প্রথম ইনিংসে ১০৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও শাণিত তাইজুল ইসলাম। ৩৩২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস যে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তার ৪টিই গেছে এই বাঁহাতি স্পিনারের পকেটে। বাংলাদেশও অপেক্ষায় আছে সিলেটে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের স্মৃতি ফেরাতে।
জয় থেকে আর মাত্র ৩ উইকেট দূরে তাইজুলরা। ১১৩ রানে চতুর্থদিন পার করা কিউইদের দরকার আরও ২১৯ রান। পঞ্চম ও শেষ দিনে অলৌকিক কিছু না ঘটলে সিলেট টেস্ট জয় প্রায় নিশ্চিত স্বাগতিকদের। বাংলাদেশকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তাইজুল।
কিউইদের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জিতে ২০২২ সাল শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এবার কি একই প্রতিপক্ষকে হারিয়ে এ বছরটা শেষ করতে পারবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা? জয়টা অবশ্য খুব দূরে নয়। আর জয় থেকে ভবিষ্যতের জন্য আত্মবিশ্বাস খুঁজে নিতে চান তাইজুল। আজ চতুর্থদিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, ‘বড় দলকে হারানোর মজাই আলাদা। এখনো জিতি নাই, তবে ইনশা আল্লাহ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। বড় দলকে হারালে আত্মবিশ্বাস বাড়ে, দল বদলে যাওয়ার আভাস থাকে। পুরো বছর যেন এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে পারি। কয়টা ম্যাচ জিতব বা জিতব না জানি না, তবে বাংলাদেশকে যেন ভালো কিছু দিতে পারি।’
নিজে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। সতীর্থরাও তাইজুলকে সহায়তা করেছেন। তাঁদেরও প্রশংসা এই বাঁহাতি স্পিনারের মুখে, ‘সকালেও উইকেট এত কঠিন মনে হচ্ছিল না। আমাদের বোলাররা অনেক দুর্দান্ত বোলিং করেছে। ওদের বড় ব্যাটারদের দ্রুত হারানোয় চাপে পড়েছে। বলব না উইকেট খুব খারাপ।’
সিলেট টেস্ট দিয়ে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক নাজমুল হোসেন শান্তর। ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে সেই অভিষেককে রাঙিয়েছেন তিনি। মাঠেও সতীর্থদের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়া তাঁর। অধিনায়ক শান্তকে বেশ প্রশংসায় করলেন তাইজুল, ‘অধিনায়ক হিসেবে সে ভালো, অনেক সিদ্ধান্ত নেয়। যেখানে আটকে যায় আমাদের সিনিয়র ক্রিকেটার যারা আছেন, মুশফিক ভাই ও সৌরভ আছেন, এমনকি আমাকেও বলে। যেখানে আটকে যায় সেখানে আমরা সাহায্য করার চেষ্টা করি। আর তার তো একটা জ্ঞান আছেই। ৫-৬ বছর ধরে খেলছে। আমার মনে হয় সে খারাপ না, ভালো আছে।’