তামিম ইকবালের সমস্যাটা ঠিক কোথায়? আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজজুড়ে বাঁহাতি পেসার ফজলহক ফারুকির সামনে কেন অসহায় আত্মসমর্পণ করতে দেখা গেল বাংলাদেশের অধিনায়ককে।
ঘরের মাঠ চট্টগ্রামে টানা তিন ম্যাচেই দৃষ্টিকটুভাবে আউট হয়েছেন তামিম, যা তাঁর ভক্ত-সমর্থকদের মতো ক্রিকেট বিশ্লেষকদেরও ভাবিয়ে তুলেছে।
আজ সোমবার সিরিজের শেষ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তামিম। লিটন দাসকে নিয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করেন তিনি। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা লিটন বেশ স্বচ্ছন্দ্যে খেললেও শুরুর ওভার থেকে নড়বড়ে ছিল তামিম। ইনসুইংয়ে তাঁকে বাক্সবন্দী করে রাখেন ফারুকি।
প্রথম স্পেলে ফারুকির করা ৬ ওভারের সব কটিতেই ভুগতে দেখা যায় তামিমকে। ২৫টি বল খেলার পরও থিতু হতে পারেননি বাংলাদেশের ওপেনার। এ সময়ে এক মুহূর্তও বাইশ গজে স্বচ্ছন্দে ছিলেন না তিনি।
তামিম শেষ তিন ম্যাচেই বাঁহাতি পেসার ফারুকির ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন। ব্যাট করতে গিয়ে মাথা বেশি নিচু হয়ে থাকছিল, সামনের পা আসছিল আড়াআড়িভাবে। তাতে বলের লাইন মিস করেছেন তিনি। একই বোলারের বলে দুইবার হয়েছেন এলবিডব্লু, আজ ক্লিন বোল্ড! এ নিয়ে প্রথমবার কোনো নির্দিষ্ট বোলারের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচে আউট হলেন তামিম।
ফারুকির বলে তামিমের ভুগতে থাকা নিয়ে পরশু ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স বলেছেন, ‘সে সামনের পা আরও সোজা করতে চায়। কিন্তু বাঁকাই থেকে যাচ্ছে। এটা শিগগিরই সমাধান করা যায় না। তবে আমরা দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করছি। সে যদি আরও ৩-৪ বছর খেলতে চায়, সামনের পা আরেকটু সোজা করতে হবে। তাহলে আরও সাফল্য পাবে। এলবিডব্লিউ না হলে ওকে আউট করা কঠিন।’
আগের দুই ম্যাচে ১১তম ওভারের মধ্যে প্রথম স্পেল শেষ করেছেন ফারুকি। আজও তাই করলেন। তামিম এবার প্রথম পাওয়ার প্লে পর্যন্ত টিকেও গিয়েছিলেন। আর এক ওভার টিকে গেলেই ফারুকি-জুজু থেকে বাঁচতে পারতেন। সেটিও পেরে উঠলেন না।
আজ তামিম বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ব্যক্তিগত ১১ রানে। আগে দুই ম্যাচে ৮ ও ১২ রানে আউট হয়েছেন তিনি। সিরিজে তাঁর ব্যাটিং গড় ১০.৩৩।