এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচের আগেই বাঁ পাশের পাঁজরে ব্যথা অনুভব করেছিলেন লিটন দাস। সেই ব্যথার কারণে শেষ পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। এবার তাঁর আফগানিস্তান সিরিজে না খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
২ অক্টোবর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজ। এই সিরিজে লিটনের না খেলা একরকম নিশ্চিত। তাঁর একটা এমআরআই করা হয়েছিল দুবাইয়ে। সেটার অপেক্ষায় টিম ম্যানেজমেন্ট। এমআরআই রিপোর্ট হাতে পেলে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা জানাবে। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, এই রিপোর্টে ভালো কিছু আসেনি। কমপক্ষে ১০-১২ দিন বিশ্রাম নিতে হতে পারে লিটনকে।
বিসিবি প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী দুবাই থেকে আজ ঢাকায় ফিরেছেন। তিনি এশিয়া কাপে জাকের আলী অনিক-লিটনদের সঙ্গে ছিলেন। বাংলাদেশের এশিয়া কাপ মিশন শেষ হলেও ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুবাইয়ের হিলটন হোটেলে থাকবে দল। ২৯ সেপ্টেম্বর হোটেল পরিবর্তন করবে।আফগানিস্তান সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নেবে সেদিন থেকে।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে না খেলে লিটন কি আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে খেলবেন? সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা লিটনের এই চোটকে টেকনিক্যাল ব্যাপার হিসেবেই দেখছেন। পাঁজরের চোটের জন্য বিশ্রাম নিয়ে পুনর্বাসনপ্রক্রিয়া চলতে পারে তাঁর। যদি পুরো সিরিজে লিটনকে না খেলানো হয়, সেটা তাঁর জন্যই ভালো। কারণ, এ ধরনের চোট থেকে সেরে উঠতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগে। তাড়াহুড়া করলে ব্যথা বাড়তে পারে। উইকেটরক্ষক হওয়াতে বিভিন্ন দিকে যখন নড়াচড়া করতে হয়, সেক্ষেত্রে পুরোপুরি সুস্থ না হয়ে খেলাটা ঝুঁকিপূর্ণ।
বিসিবি নির্বাচকেরাও আজ বিকেলে বসবেন আফগান সিরিজের দল নিয়ে আলোচনা করতে। টি-টোয়েন্টি দলও ঘোষণা করা হতে পারে। সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচকরাও নাকি লিটনকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে অধিনায়ক করে টি-টোয়েন্টির দল দেবে। লিটনের অনুপস্থিতিতে এশিয়া কাপে অধিনায়কত্ব করেছিলেন জাকের। তবে জাকেরের নেতৃত্বে দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ হেরেছে। ব্যাটিংয়েও কিছু করতে পারেননি। তাই আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজে অধিনায়ক শেখ মেহেদী, জাকের নাকি নতুন কেউ হবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
২, ৩ ও ৫ অক্টোবর বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের তিন টি-টোয়েন্টি। ৮ অক্টোবর শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে হবে ১১ ও ১৪ অক্টোবর।