অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর দলকে নেতৃত্ব দিতে দীর্ঘ ৯ মাস অপেক্ষা করতে হয়েছিল তামিম ইকবালকে। পূর্ণ মেয়াদে তামিম অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর প্রথম সিরিজেই ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ। এরপর টানা চারটি সিরিজে নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম। সব মিলিয়ে গত দুই বছরে পাঁচ সিরিজে নেতৃত্ব দিয়ে চারটিতেই জিতিয়েছেন দলকে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে সংবাদমাধ্যমকে তামিম অবশ্য বলেছেন, তিনি এখনো অধিনায়কত্ব শিখছেন।
অধিনায়কত্বের দ্বিতীয় সিরিজেই মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখেছিলেন তামিম। নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরে এসেছিল বাংলাদেশ। ওই সফরের পর এই দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ তামিমের জন্য আরেকটি বড় পরীক্ষার মঞ্চ। নিজের অধিনায়কত্ব নিয়ে তামিম বললেন, ‘হয়তো ১৩-১৪টা ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছি। আমার কাছে মনে হয় প্রতিটি ম্যাচেই কিছু না কিছু শেখার বিষয় থাকে। কারণ প্রতিটি ম্যাচেই ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আর এখান থেকেই আমি শিখি।’
তামিমের অধীনে ওয়ানডে সুপার লিগে পয়েন্ট টেবিলের ১ নম্বরে আছে বাংলাদেশ। এর পরও নিজেকে মূল্যায়নের ভার অন্যদেরই দিলেন ওয়ানডে অধিনায়ক, ‘যদি অনেক দিন ধরে কিংবা বয়সভিত্তিক দল থেকে অধিনায়কত্ব করা হয়, তাহলে অভিজ্ঞতা আসবে। কিন্তু আমার জন্য প্রতিটি ম্যাচই কিছু না কিছু শেখার। আমি কেমন অধিনায়ক কিংবা দলে কতটুকু অবদান রাখছি সেটা আমি মূল্যায়ন করতে পারব না। অন্যরা আমাকে মূল্যায়ন করবে।’