২০২৩ সাল প্যাট কামিন্স কাটিয়েছেন স্বপ্নের মতো। তাঁর নেতৃত্বেই অস্ট্রেলিয়া দুবার শিরোপা জিতেছে ভারতকে কাঁদিয়ে। ‘ক্যাপ্টেইন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’ উপাধিটা যে তাঁর সঙ্গেই যায়। অসাধারণ সময় পার করা কামিন্স হয়েছেন এবার উইজডেনের ‘লিডিং ক্রিকেটার’।
একঝাঁক তারকা ক্রিকেটারের নাম আজ প্রকাশ করেছে উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমানাক। লিডিং ক্রিকেটার হিসেবে বেছে নিয়েছে কামিন্সকে। কামিন্সের নেতৃত্বেই লন্ডনের ওভালে গত বছর ভারতকে হারিয়ে ২০২১-২৩ চক্রের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডে গিয়ে অ্যাশেজ ড্র করে ২-২ সমতায়। একই বছরের নভেম্বরে ষষ্ঠবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতে অস্ট্রেলিয়া। কামিন্সের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ১ লাখেরও বেশি দর্শককে কাঁদিয়েছিল। ৪২ উইকেট নিয়ে টেস্টে গত বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি কামিন্স। অজি পেসারের লিডিং ক্রিকেটার হওয়ার ব্যাখ্যায় উইজডেনের সম্পাদক লরেন্স বুথ বলেন, ‘প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সফলতার পর অ্যাশেজ ধরে রেখেছে। এজবাস্টনে শেষের দিকে নেমে তার ইনিংসেরও অবদান রয়েছে। এরপর তার নেতৃত্বে ভারতে বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ২০২৩ সালে আর কোনো পেসার টেস্টে ৪২ উইকেট পায়নি।’
নারীদের ক্রিকেটে এবার লিডিং ক্রিকেটার হয়েছেন ইংল্যান্ডের নাটালি সাইভার ব্রান্ট। ২০২৩ সালে ছয় ওয়ানডেতে ১৩১ গড় ও ১০৭.৩৭ স্ট্রাইকরেটে করেন ৩৯৩ রান। করেছেন ৩ সেঞ্চুরি, যার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন। ছেলে ও মেয়েদের ক্রিকেট মিলে উইজডেনের তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার দাপটই বেশি। অস্ট্রেলিয়ার তিন ক্রিকেটারের মধ্যে ছেলেদের ক্রিকেটে আছেন মিচেল স্টার্ক ও উসমান খাজা। ২০২৩ অ্যাশেজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক খাজা। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ব্যাটার ৪৯.৬০ গড়ে করেছেন ৪৯৬ রান। ২৩ উইকেট নিয়ে এই অ্যাশেজেই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি মিচেল স্টার্ক। মেয়েদের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি অ্যাশলে গার্ডনার। ইংল্যান্ডের পুরুষ ক্রিকেটারদের মধ্যে উইজডেনের তালিকায় আছেন হ্যারি ব্রুক ও মার্ক উড। উইজডেন ট্রফি পেয়েছেন ট্রাভিস হেড। ওভালে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ১৭৪ বলে ১৬৩ রান করেন।
কামিন্সের আগে উইজডেনের লিডিং ক্রিকেটার হওয়া যেন এক রকম নিয়ম বানিয়ে ফেলেছিলেন বেন স্টোকস। ২০২০, ২০২১, ২০২৩—এই তিন বছর উইজডেনসেরা নির্বাচিত হয়েছেন স্টোকস। এবার বর্ষসেরা হয়ে ১২ বছরের খরাও কাটালেন কামিন্স। কামিন্সের আগে অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে সবশেষ ২০১২ সালে উইজডেনের লিডিং ক্রিকেটার হয়েছিলেন মাইকেল ক্লার্ক।