‘একজন নিরপরাধ ব্যক্তি মামলার শুনানি চলাকালে লোহার খাঁচায় দাঁড়িয়ে থাকবেন এটা আমার কাছে অত্যন্ত অপমানজনক মনে হয়।’
আজ বুধবার গ্রামীণ টেলিকমের টাকা আত্মসাৎ মামলায় নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার পর আদালতের বাইরে এসে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন। পরে বিচার শুরুর নির্দেশের প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, ‘অনেক হয়রানি করছে বুঝতে পারছি। মানি লন্ডারিং, অর্থ আত্মসাৎ, প্রতারণা—এসব প্রচণ্ড রকম বিব্রতকর শব্দগুলো আমার ওপর আরোপ হচ্ছে। এগুলো হয়রানির অংশ। হয়তো আরও হয়রানি হতে হবে।’
লোহার খাঁচা প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, ‘আজকে সারাক্ষণ লোহার খাঁচার মধ্যে ছিলাম। এটা কি ন্যায্য হলো নাকি? যদিও আমাকে বলা হয়ছিল এজলাসে থাকতে। কিন্তু আমি নিজেই অন্যদের সঙ্গে খাঁচায় ঢুকেছি।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘সবাই জানে, যতক্ষণ একজনের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হয়, ততক্ষণ তিনি নিরপরাধ। নিরপরাধ ব্যক্তিকে কেন লোহার খাঁচায় দাঁড়াতে হবে? এটার অবসান হওয়া উচিত। একজন নিরপরাধ নাগরিককে লোহার খাঁচায় দাঁড়িয়ে থাকতে হবে, এটা আমার কাছে অত্যন্ত অপমানজনক।’