হোম > জাতীয়

সচিবালয়ে আজও বিক্ষোভের ডাক, দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­

সরকারি চাকরির সংশোধিত অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের প্রতিবাদে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীদের। অধ্যাদেশ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন কর্মচারীরা। আজ মঙ্গলবারও বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। কর্মচারীদের এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সচিবালয় অভিমুখে ‘ফ্যাসিবাদ উৎখাত যাত্রা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জুলাই মঞ্চ। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সব ধরনের দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সচিবালয় নিরাপত্তা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে গতকাল রাতে এ তথ্য জানানো হয়।

সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের বিরুদ্ধে কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশটি জারি করে সরকার। এই অধ্যাদেশ জারির ফলে এখন থেকে চার ধরনের অপরাধের দায়ে বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু নোটিশ দিয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করতে পারবে সরকার। এ কারণে শুরু থেকেই আইনটি সংশোধনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারীরা। কিন্তু তাঁদের আপত্তি অগ্রাহ্য করে গত রোববার রাতে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি।

অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবিতে গতকাল বেলা সোয়া ১১টার পর সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের পাশে বাদামতলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কর্মচারীরা। পরে মিছিল নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং জনপ্রশাসন সচিবের দপ্তর ঘেরাও করতে যান তাঁরা। একপর্যায়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দপ্তর যে ভবনে, সেই ভবনের সামনে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান করার ঘোষণা দেন কর্মচারীরা। পরে সেখান থেকে সরে গিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশের প্রধান ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় সচিবালয়ে প্রবেশের সব ফটক বন্ধ করে দেন কর্মচারীরা। আধা ঘণ্টা পর এসব গেট খুলে দেওয়া হয়।

এদিকে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব সংগঠনকে নিয়ে গতকাল নতুন ঐক্য ফোরাম গঠন করা হয়েছে। এরপর বেলা আড়াইটার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে ঐক্য ফোরামের নেতারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর বলেন, কর্মসূচি ততক্ষণ পর্যন্ত চলমান থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত এই কালো আইন বা অধ্যাদেশ বাতিল সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার না করা হবে। উপদেষ্টা পরিষদ এগিয়ে না এলে এ আন্দোলন সারা দেশে ১৮ লাখ কর্মচারীর মাঝে ছড়িয়ে পড়বে। এই আইন বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে চলমান কর্মসূচি সমাপ্ত হবে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের বাদামতলায় সমবেত হতে কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বাদিউল জানান, গতকাল সোমবার আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও উপদেষ্টা রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকায় বৈঠকটি হয়নি।

ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের আরেক অংশের সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম জানান, সারা দেশের সব সরকারি কর্মচারীরা তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

এর আগে বিক্ষোভ সমাবেশে কর্মচারী নেতারা অভিযোগ করেন, যেসব কর্মচারী আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন, অনেক সচিব তাঁদের ডেকে নিয়ে হুমকি দিয়েছেন।

আরও খবর পড়ুন:

কার্যক্রম প্রভাবিত করতে মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে: গুম কমিশন

জনসচেতনতায় ‘ভোটের গাড়ির’ প্রচারণা শুরু সোমবার

দেড় দশকে পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের ভিত দুর্বল করা হয়েছে: আসিফ নজরুল

নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথ বাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ

হাদি হত্যা: ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের অ্যাকাউন্টে ১২৭ কোটি টাকার লেনদেন

‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আগামী পাঁচ দিন শীতের অনুভূতি বাড়বে

অবশেষে প্রজাপতি প্রতীকে নিবন্ধন পেল আমজনতার দল

ফয়সালের অবস্থান নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই: অতিরিক্ত আইজিপি

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক