জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন সেনাপ্রধান। গতকাল রোববার অভ্যুত্থানে আহত ছাত্রছাত্রীদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার ও নৈশভোজের অনুষ্ঠানে আবু সাঈদের বাবার হাতে তিনি এই আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। এ সময় সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আহত ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাঁদের খোঁজখবর নেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর শহীদ আবু সাঈদের বাবা হঠাৎ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে জরুরি ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে রংপুর থেকে ঢাকা সিএমএইচে আনা হয় এবং উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। গতকাল জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সেনাপ্রধানের আমন্ত্রণে তিনি উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে বিক্ষোভের সময় গত বছরের ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে প্রতিবাদমুখর নিরস্ত্র আবু সাঈদকে পুলিশ গুলি করে। সহপাঠীরা সাঈদকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।
আবু সাঈদকে পুলিশের গুলি করার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হন বহু মানুষ, যাতে আরও গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন।
আরও খবর পড়ুন: