করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসায় দুর্নীতির কাণ্ডে জড়িত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার কোনো সাক্ষী হাজির না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ আসিফুজ্জামান আগামী ২৮ নভেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক শেখ গোলাম মওলা সাক্ষ্য দেন। গত ১২ জুন ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত।
আবুল কালাম আজাদ ও সাহেদ ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন—স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপপরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম।
সাহেদ ছাড়া অন্য পাঁচ আসামি জামিনে আছেন। জামিনে থাকা সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাহেদকেও কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। মামলার এজাহারে স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি ডা. আবুল কালাম আজাদের নাম না থাকলেও তদন্তে তার জড়িত থাকার তথ্য পাওয়ায় পরে চার্জশিটে তাঁকেও আসামি করা হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক সই ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে তিন হাজার ৯৩৯ জন রোগীর করোনা নমুনা বিনা মূল্যে পরীক্ষা করান।
এতে আরও বলা হয়, যেখান থেকে অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি সাড়ে তিন হাজার টাকা হিসেবে এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করা হয়। এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক-নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরা হয়।
আরও খবর পড়ুন: