মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, বর্তমানে বিশুদ্ধ শাক পাওয়া যায় না। পরিবেশ দূষণের কারণে এবং নানা আধুনিক কৃষিতে কীটনাশক ও আগাছানাশক ব্যবহারের কারণে শাক পেলেও তা খাওয়ার উপযোগী থাকে না। কারণ সেটা বিষাক্ত হয়ে যায়। যদি পরিবেশকে বিষমুক্ত করা যায়, তাহলে শাকগুলো আমরা সবাই খেতে পারব।
আজ রোববার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে ‘বাংলার উৎসব ১৪৩২: চৈত্র সংক্রান্তি ও বৈশাখ উদ্যাপন’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আরও ছিলেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার।
বিষমুক্ত শাকসবজি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, ‘গরিব মানুষ এই শাক খেয়ে বেঁচে থাকে। আমরা যে বলি, জিনিসপত্রের দাম বাড়ার পর গরিব মানুষ শেষ পর্যন্ত কেমন করে বেঁচে আছে। আর তারা কিন্তু পুষ্টিটা এই শাক থেকেই পায়। আর সে কারণেই তারা বেঁচে আছে।’
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, বাংলাদেশে এই প্রথম সরকারিভাবে চৈত্র সংক্রান্তি পালিত হচ্ছে। গ্রামবাংলার যত ধরনের আয়োজন ও বৈচিত্র্য সংস্কৃতি তা এই চৈত্র সংক্রান্তিতে দেখা যায়। পাশাপাশি এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে বৈশাখের অনুষ্ঠান। আমাদের গ্রামবাংলায় এই দুইটি উৎসবকে এক সঙ্গে পালন করা হয়।
উপদেষ্টা আরও বলেন, এই উৎসবের দিন সাধারণত বিভিন্ন পদের শাক দিয়ে তরকারি তৈরি করার প্রচলন আছে। এদিক কোনো প্রকার আমিষ খাওয়া হয় না।
চৈত্র সংক্রান্তির ঐতিহ্যবাহী ১৪ রকমের শাকের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, চৈত্র সংক্রান্তি পালন করতে গিয়ে শাক খুঁজে পেতে যেন আমাদের বেগ পেতে না হয়।