বিশ্বে প্রতি বছর ৭ লাখেরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে। ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ হলো আত্মহত্যা। বিশ্বের মোট আত্মহত্যার ৭৭ শতাংশই ঘটে নিম্ন এবং মধ্য আয়ের দেশে। আত্মহত্যা বিষয়ক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্যই উঠে এসেছে। আজ শুক্রবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘কর্মের মাধ্যমে আশা তৈরি করা’।
দেশের বেসরকারি সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশনের গবেষণা বলছে, করোনার কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। আঁচলের গত মার্চের আত্মহত্যা বিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারা দেশে করোনাকালে পুরুষের চেয়ে বেশি নারীরা আত্মহত্যা করেছে। ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট আত্মহত্যার ঘটনা ১৪ হাজার ৪৩৬ টি। এর মধ্যে নারীর আত্মহত্যার ঘটনা ৮ হাজার ২২৮টি এবং পুরুষের আত্মহত্যার ঘটনা ৬ হাজার ২০৮ টি।
আত্মহত্যার ঘটনা পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী রয়েছেন ৪৯ শতাংশ, ৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী ৩৫ শতাংশ, ৩৬ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ১১ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আত্মহত্যার অন্যতম কারণ হলো ডিপ্রেশন বা মানসিক অবসাদ। দীর্ঘদিন ডিপ্রেশনে ভোগা ব্যক্তিরা একসময় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এ জন্য শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়েও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ফারজানা রহমান বলেন, প্রত্যেকেরই উচিত তার আশপাশের মানুষগুলোর দিকে একটু খেয়াল রাখা। তার মধ্যে কোনো পরিবর্তন এসেছে কি-না সেটা লক্ষ্যে রাখা। এ ক্ষেত্রে পরিবারের মানুষদের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি আত্মীয়স্বজন, বন্ধু বান্ধবদেরও উচিত কাছের মানুষগুলোকে অবসাদে ভুগতে দেখলে মানসিকভাবে একটু শক্তি জোগানো। প্রয়োজনে মনোবিদের কাছে নিয়ে যাওয়া।
আরও পড়ুন: