হোম > জাতীয়

কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান প্রধান বিচারপতির

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ও হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুই শিক্ষার্থীর করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের রায়ের ওপর ৪ সপ্তাহের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। 

আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আপিল বিভাগ সাবজেক্ট মেটারে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলেছেন। সাবজেক্ট মেটারে (বিষয় বস্তু) কোটা নেই, সেটিই চলবে। রায় পেলে আবেদন (লিভ টু আপিল) করব। তখন আপিল বিভাগ পূর্ণাঙ্গ রায় দেবেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলব আর আন্দোলন করার যৌক্তিক কারণ নেই। আপনারা সবাই রাস্তা ছাড়েন। আর মানুষের জনদুর্ভোগ করবেন না।’ 

এর আগে বুধবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দুই শিক্ষার্থীর করা আবেদনটি শুনানির জন্য আসে। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘এই বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের একটি আবেদন আছে। তাই উভয় আবেদনের শুনানি ও আদেশের জন্য আজ বেলা সাড়ে ১১টায় সময় নির্ধারণ করেন আদালত।’ 

আবেদন করা দুই শিক্ষার্থী হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া এবং উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান। 

গতকাল মঙ্গলবার ওই দুই শিক্ষার্থী হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। পরে বেলা ২টার পর চেম্বার জজ আদালতের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম শুনানির জন্য আজকের দিন ঠিক করে দেন। 

আবেদনকারীদের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক মঙ্গলবার বলেন, ‘আবেদনকারীরা সাধারণ শিক্ষার্থী। তাঁরা আন্দোলনকারী না। আবেদনে হাইকোর্টের রায় স্থগিত ও কোটা সংস্কার চাওয়া হয়েছে, বাতিল নয়।’ 

সরকারি চাকরিতে নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। ২০২১ সালে জারি করা এ-সংক্রান্ত রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। পরে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। চেম্বার বিচারপতি গত ৯ জুন রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। 

গত ৪ জুলাই আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। ওই দিন রিটকারীদের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় সময় চাওয়া হয়। তখন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ নট টুডে বলে আদেশ দেন। 

কোটা ইস্যুর সম্ভাব্য সমাধান 
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা পরিপত্রে বলা হয় ৯ম (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে এবং ৯ম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো। 

পরে ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। তাতে হাইকোর্ট ওই পরিপত্র বাতিল করে রায় দেন।

আরও খবর পড়ুন:

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

ঢাকা বিভাগের নির্বাচন ও গণভোটের গান রিলিজ করল সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে পাল্টা তলব

টিএফআই সেলে গুম-নির্যাতনের শুনানিতে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের দায়িত্ব নিল সরকার

বিমানবন্দর এলাকায় ড্রোন উড্ডয়ন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ

অগ্নিদুর্ঘটনায় দ্রুত সাড়া নিশ্চিতে ফায়ার সার্ভিস ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

পররাষ্ট্রের ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে নতুন কমিটি