পদ্মা সেতু নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ে যাঁরা জড়িত ছিলেন তাঁদের সবার সঙ্গে ছবি তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক সভায় তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহের কথা জানান।
শামসুল আলম বলেন, ‘আজকের একনেক বৈঠকে প্রসঙ্গক্রমে পদ্মা সেতুর কথা উঠে এসেছে। পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সবার সঙ্গে ছবি তুলবেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ দিয়ে ভাঙা অংশে একটি জাদুঘর করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।’
এ সময় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মামুন আল রশিদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক, প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক থেকে শুরু করে মন্ত্রী—সবাই এর কর্মী। ভাঙ্গায় যে মিউজিয়াম করার কথা বলেছেন সেখানে প্রতিটি পর্যায়ে কর্মীদের নাম যেন লিপিবদ্ধ থাকে, সে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে হাওর অঞ্চলের সব সড়ক এলিভেটেড বা উড়াল সড়ক নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। হাওরের সড়কে ছোট কালভার্ট নির্মাণ না করে বড় ব্রিজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।’
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় নিয়ে করা এক প্রশ্নে শামসুল আলম বলেন, ‘শুরুতে পদ্মা সেতুর যে নির্মাণ ব্যয় ছিল তা থেকে ব্যয় বেড়েছে, এটা ঠিক। আজ পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি বাদ দিলে পদ্মা সেতুর মূল খরচ দিয়েই পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পে তিনবার ডিপিপি পরিবর্তন হয়েছে, সেটাও মনে রাখতে হবে।’
মঙ্গলবারের একনেক সভায় ১০ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন: