প্রায় পাঁচ দশকের ক্যারিয়ার মোহনলালের। মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রির এ জনপ্রিয় অভিনেতা কাজ করেছেন তামিল, তেলুগু, কন্নড় ও হিন্দি সিনেমাতে। অভিনয়ের পাশাপাশি করেছেন পরিচালনা এবং প্রযোজনাও। সব মিলিয়ে তাঁর সিনেমার সংখ্যা ৪০০-এর বেশি। চলচ্চিত্রে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এর আগে পেয়েছিলেন পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণের মতো সম্মান। এবার দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত হচ্ছেন মোহনলাল।
ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালের মর্যাদাপূর্ণ দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য মোহনলালের নাম সুপারিশ করেছে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার নির্বাচন কমিটি। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, মোহনলালের অভিনয় তাঁর পরবর্তী প্রজন্মকেও অনুপ্রাণিত করে চলেছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য এই অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজককে বিশেষ এই সম্মানে সম্মানিত করা হচ্ছে। তাঁর অভিনয়, বহুমুখী প্রতিভা আর নিরলস পরিশ্রম ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য অধ্যায় হয়ে থাকবে।
২৩ সেপ্টেম্বর ভারতের ৭১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের অনুষ্ঠানে মোহনলালকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত করা হবে। গত বছর এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে।
১৯৭৮ সালে মোহনলাল প্রথম অভিনয় করেন ‘থিরানোত্তম’ সিনেমায়। তবে প্রথম সিনেমাটি নানা জটিলতায় ওই সময় মুক্তি পায়নি। ১৯৮০ সালে ‘মানজিল ভিরিঞ্জা পোক্কাল’ দিয়ে পর্দায় অভিষেক হয় তাঁর। আশির দশকে মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সেরা অভিনেতা হিসেবে আবির্ভাব হয় মোহনলালের।
সেই থেকে এখনো দাপটের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এখনও পর্দায় তাঁর উপস্থিতি মানেই অন্যরকম উন্মাদনা। এ বছর মুক্তি পাওয়া মোহনলাল অভিনীত ‘এল টু: এমপুরান’ মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার রেকর্ড গড়েছে।