ঢাকা: মুখ খুললেন নায়িকা পরীমণি। ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার দুই ঘণ্টার মাথায় হাউমাউ করে কেঁদে সাংবাদিকদের ডাকলেন নিজ বাসায়। জানালেন তাঁকে হত্যা ও ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম। সবিস্তারে বলেন, তাঁর ওপর সেদিন রাতে নারকীয় অত্যাচার চালিয়েছেন নাসির ইউ মাহমুদ নামের এক ব্যবসায়ী। যিনি উত্তরা ক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে ঢাকা বোট ক্লাবের এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি পদে আছেন।
পরীমণি দুজনের নাম প্রকাশ করে জানান, অন্যজন তাঁর (পরীমণি) কস্টিউম ডিজাইনার জেমির স্কুলবন্ধু অমি নামের এক ব্যবসায়ী।
‘সেখানে নাসির ইউ মাহমুদ আমাকে মদ খেতে অফার করেন। আমি রাজি না হলে আমাকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে আমাকে চড়-থাপ্পড় মারেন। তারপর আমাকে নির্যাতন ও হত্যার চেষ্টা করেন। অমিও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।’
পরীমণি জানান, সেদিন রাতে তাঁকে পানীয়র সঙ্গে কিছু একটা খাওয়ানো হয়েছিল। কারণ, প্রচণ্ড অস্থির আর অস্বস্তি ফিল করছিলেন। এর মধ্যে তাঁকে করতে হয়েছে বাঁচার যুদ্ধ। সেখান থেকে সেদিন রাতে বেরিয়েই পরীমণি যান বনানী থানায়।
পরীমণি জানান, থানায় তাঁর অভিযোগ শুনলেও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেননি কর্তব্যরত অফিসার।