দ্বাবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিধি ভেঙে জুরি বোর্ড গঠন এবং এক আয়োজকের সিনেমা পুরস্কার পাওয়ার ঘটনায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ফিপ্রেসি।
জুরি বোর্ড গঠন ও পুরস্কারে অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় বাংলাদেশের ফিপ্রেসি চ্যাপটার আইএফসিএবিকে (ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে চলচ্চিত্র সমালোচকদের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকস (ফিপ্রেসি)।
২২তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জুরিবোর্ড গঠনে অনিয়ম এবং আয়োজকের পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
‘বিধি ভেঙে জুরিবোর্ড গঠন, আয়োজকের হাতে পুরস্কার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর এ নিয়ে তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছে ফিপ্রেসি। অভ্যন্তরীণ তদন্তে বিধিমালা, আইন ও নিয়মের স্পষ্ট লঙ্ঘন খুঁজে পেয়েছে সংগঠনটি।
বাংলাদেশ প্যানোরামা বিভাগের অন্যতম বিচারক মফিদুল হক ও ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সভাপতি আহমেদ মুজতবা জামাল বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে ফিপ্রেসির সভাপতি আহমেদ শাওকি জানিয়েছেন, উৎসবের জন্য কাজ করেন, এমন একজন নির্মাতার সিনেমা প্রতিযোগিতা বিভাগের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। উৎসব কর্তৃপক্ষের অবশ্যই নিজস্ব লাইনআপ তৈরির পূর্ণ অধিকার রয়েছে, তবে ফিপ্রেসি অ্যাওয়ার্ডের তালিকা থেকে সিনেমাটিকে বাদ দেওয়া উচিত ছিল। দ্বিতীয়ত, জুরি কমিটিতে এমন সদস্য ছিলেন যিনি উৎসব আয়োজনের সঙ্গেও জড়িত।
এ ছাড়া আগামী তিন মাস ফিপ্রেসির হয়ে যেকোনো ধরনের বিচারিক কার্যক্রমে ফিপ্রেসি বাংলাদেশ অংশকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জুরি কমিটি গঠনেও ফিপ্রেসির বিধিমালার ১০ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে। বিধিতে স্পষ্ট বলা আছে, ‘সংশ্লিষ্ট উৎসবের সঙ্গে যুক্ত কেউ জুরি কমিটিতে থাকতে পারবেন না।’ অথচ বাংলাদেশ প্যানোরামা বিভাগের তিনজন জুরি সদস্যের একজন ছিলেন মফিদুল হক, যিনি এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের একজন নির্বাহী সদস্য ও আয়োজক প্রতিষ্ঠান রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির উপদেষ্টা।