গতকাল বুধবার মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয়েছে বাংলাদেশের সিনেমা পরিচালক নুরুল আলম আতিকের ‘পেয়ারার সুবাস’। প্রিমিয়ারের পর সিনেমাটির প্রশংসা করেন বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র সাংবাদিক ও সমালোচকেরা। সিনেমাটি গুরুত্বপূর্ণ এ উৎসবে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে অংশ নিয়েছে। উৎসবের আমন্ত্রণে অংশ নিয়েছেন পরিচালক নুরুল আলম আতিক ও অভিনয়শিল্পী তারিক আনাম খান। আলফা–আই প্রযোজিত এ সিনেমায় সহপ্রযোজক হিসেবে রয়েছে চরকি।
গতকাল মস্কোর স্থানীয় সময়ে বিকেল ৪টায় দেখানো হয় এই সিনেমা প্রথম শো। ‘পেয়ারার সুবাস’ সিনেমায় মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, আহমেদ রুবেল, সুষমা সরকার, নূর ইমরান মিঠু, মাহমুদ আলম সহ অনেকেই।
এই ফেস্টিভ্যালে যোগ দিয়েছেন পরিচালক নুরুল আলম আতিক, অভিনেতা তারেক আনাম খান ও সিনেমাটির এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার সন্দ্বীপ শ্রীবাস্তব।
ফেস্টিভ্যাল থেকে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে তারিক আনাম খান বলেন, ‘প্রিমিয়ার শো-য়ের শুরুতেই মঞ্চে আমাদের তিনজনকে স্বাগত জানানো হয়। পরে আমরা দর্শকদের স্বাগত জানাই। বাংলাদেশে যে নতুন ধারার সিনেমা নির্মাণ শুরু হয়েছে, সেটা তাদের সামনে তুলে ধরি। শো শেষে সেখানকার অভিনেতা ও প্রযোজকেরা দেখা করেছেন, ছবি তুলেছেন। তারা আমাদের সিনেমা দেখার ব্যাপারে বেশ আগ্রহী। তার আগে সকালে আমরা একটা প্রেস কনফারেন্সে অংশ নেই। সব মিলিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা।’
উৎসবে যেতে না পারলেও অভিনেত্রী জয়া আহসান পেয়ারার সুবাস-এর শো নিয়ে বেশ এক্সসাইটেড। তিনি তাঁর ফেসবুকে সিনেমাটি পোস্টার শেয়ার করে লিখেছেন, ‘গতকাল আমাদের এই ছবির সাংবাদিক সম্মেলন ছিল। সেখানে সাংবাদিক ও ফিল্ম সমালোচক মহলে আমাদের ছবি নিয়ে যে উদ্দীপনা আমরা দেখেছি, তাতে আমি সত্যি আপ্লুত। মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব যে সম্মান দিয়েছে পেয়ারার সুবাসকে, আমাদের প্রত্যেককে, তা সত্যিই খুব আন্তরিক হয়ে রইল। সকলকে ভালোবাসা, অভিনন্দন।’
এই সিনেমার প্রযোজনা প্রতিস্থান আলফা-আই স্টুডিওজ লি:-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য এত গর্বের ব্যাপার যে বলে বোঝানো যাবে না। সিনেমাটি আমার মনের খুব কাছের। সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছে। আরও একটি শো আছে সিনেমাটির। এটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য একটি দুর্দান্ত মুহূর্ত।’
চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, ‘পেয়ারার সুবাস সিনেমার সঙ্গে বাংলাদেশের গুণী নির্মাতা ও গুণী অভিনয়শিল্পীরা যুক্ত আছেন। এটা আমার জন্য অবশ্যই বিশেষ মুহূর্ত যে বাংলা সিনেমা বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাচীনতম চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতায় রয়েছে। চরকি এই ছবির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে বেশ আনন্দিত। বাংলা সিনেমাকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য চরকি সব সময় কাজ করছে।’