১৯৮৬ সালের কথা। মাসুম পারভেজ রুবেলের বয়স তখন ২৪ বছর। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। বড় ভাই সোহেল রানার হাত ধরে চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে এলেন রুবেল। শহিদুল ইসলাম খোকনের ‘লড়াকু’ ছবি দিয়ে শুরু হলো তাঁর নায়কজীবন।
এরপর ‘উদ্ধার’, ‘বীরপুরুষ’, ‘বজ্রমুষ্টি’, ‘বিপ্লব’, ‘ঘাতক’সহ দুই শরও বেশি ছবির নায়ক হয়েছেন রুবেল। কিন্তু অনেক দর্শক তাঁকে মনে রেখেছে ‘লড়াকু’ নায়ক হিসেবেই।
এত বছর পর সেই ‘লড়াকু’ ছবি রিমেক করতে যাচ্ছেন রুবেল। এবার শুধু অভিনয় নয়, পাশাপাশি প্রযোজনা ও পরিচালনাও করবেন তিনি। রুবেল জানিয়েছেন, ছবির নায়ক-নায়িকা এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়ে গেছে। নভেম্বরের শেষদিকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন তিনি।
রুবেল বলেন, ‘বাংলা ছবির ইতিহাসে “লড়াকু” খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছবি। আমার ক্ষেত্রে তো অবশ্যই, আরও কয়েকজন অভিনেতার ক্যারিয়ার তৈরি হয়েছিল এ ছবি দিয়ে। শহিদুল ইসলাম খোকনও এ ছবির মাধ্যমে গ্রহণযোগ্যতা পান। তাই নতুন করে নির্মাণের আগে অনেক হিসাব-নিকাশ করতে হচ্ছে।’
এত বছর আগের গল্পকে এ সময়ের প্রেক্ষাপটে আধুনিকভাবে উপস্থাপন করাটাই প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে মনে হচ্ছে রুবেলের। ছবির অ্যাকশনে মার্শাল আর্টের ব্যবহার থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পরিচালনায় অবশ্য রুবেল এবারই প্রথম নন। এর আগে ‘বাঘের থাবা’, ‘মায়ের জন্য যুদ্ধ’, ‘বিচ্ছু বাহিনী’, ‘অন্ধকারে চিতা’সহ ১৭টি ছবি বানিয়েছেন তিনি।
২০১৬ সালে একবার ‘লড়াকু’ রিমেকের উদ্যোগ নিয়েছিলেন রুবেল। তখন ছবির নির্মাতা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল ইফতেখার চৌধুরীর নাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঘোষণাতেই আটকে গিয়েছিল ছবিটি।