শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে এন রাশেদ চৌধুরী পরিচালিত সরকারি অনুদানের ছবি ‘চন্দ্রাবতী কথা’। ছবিতে চন্দ্রাবতী চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলরুবা দোয়েল। ষোড়শ শতকের চন্দ্রাবতী হয়ে ওঠার গল্প বললেন তিনি।
অভিনেত্রী দিলরুবা দোয়েলের প্রথম ছবি নাসিরউদ্দীন ইউসুফের ‘আলফা’। দ্বিতীয় ছবি ‘চন্দ্রাবতী কথা’য় তিনি হয়েছেন চন্দ্রাবতী। কে এই চন্দ্রাবতী? চন্দ্রাবতীর গল্প জানতে গেলে ফিরে যেতে হবে আজ থেকে সাড়ে চার শ বছর আগে। কিশোরগঞ্জের পাতুয়ারীতে ছিল চন্দ্রাবতীর নিবাস। মনসামঙ্গল কাব্যের অন্যতম রচয়িতা দ্বিজ বংশীদাস ছিলেন চন্দ্রাবতীর বাবা। কিন্তু চন্দ্রাবতীর নিজেরও আলাদা পরিচয় আছে। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম বাঙালি মহিলা কবি তিনি। মলুয়া, দস্যু কেনারামের পালা, রামায়ণ গীতিকা তাঁরই লেখা।
চন্দ্রবতীকে নিয়ে লেখা হয়েছে একটি গীতিকা। মৈমনসিংহ গীতিকার সেই পালার নাম `জয়-চন্দ্রাবতী'। পরবর্তী সময়ে আরও অনেক পালায়, গল্পে, কাহিনিতে এসেছে চন্দ্রাবতী প্রসঙ্গ।
ষোড়শ শতকের অসম্ভব প্রতিভাবান ও সংগ্রামী এই নারীকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র ‘চন্দ্রাবতী কথা’। গবেষণা, শুটিং পূর্বপ্রস্তুতি, শুটিং, পোস্ট প্রোডাকশন—সব মিলিয়ে ছবিটি শেষ করতে পাঁচ বছরের মতো সময় লেগেছে। কেমন ছিল প্রস্তুতি?
নাসিরউদ্দীন ইউসুফ, মোরশেদুল ইসলাম, নুরুল আলম আতিক, মাসুদ হাসান উজ্জলসহ অনেক গুণী নির্মাতা ছবিটি দেখে প্রশংসা করছেন। শুভকামনা জানাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। দোয়েল বলেন, ‘গুণীজনদের প্রশংসা সত্যিই আমাদের আবেগাপ্লূত করে দিচ্ছে। আসলে এটা পুরো টিমওয়ার্ক ছিল। আর রাশেদ ভাইয়ের সব ক্রেডিট। ওনার এত পড়াশোনা, ডেডিকেশন, প্যাশন ছিল যে আমরা সবাই নিজেদের সর্বোচ্চটা দিতে পেরেছি। কী করব আমরা পরিষ্কার ছিলাম। আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে ছবি তো খুব কম হয়। সে ক্ষেত্রে এই ছবি দারুণ সাহসী একটা কাজ।’