ঢাকা: দক্ষিণ কোরিয়ার অভিনেত্রী ইয়া-জাং উন। ৭৩ বছর বয়সী এ নারীই এবার অস্কার আসরের অন্যতম আকর্ষণ। ‘মিনারি’ সিনেমায় অসাধারণ অভিনয় করে প্রথমবারের মতো অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস পেলেন তিনি।
ইয়া-জাং উন এর হাত ধরে এই প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো অভিনেত্রী পেলেন অস্কারের স্বাদ। ফলে এই বর্ষীয়ান তারকার নাম ঢুকে পড়লো ইতিহাসের পাতায়।
গত আসরেই দেশটি অস্কারে প্রথম পুরস্কার পায়। বং জুন-হো পরিচালিত ‘প্যারাসাইট’ পেয়েছিল সেরা সিনেমার খেতাব। তবে অভিনয় দিয়ে এই প্রথম অস্কার পেলো দক্ষিণ কোরিয়া।
সেরা সিনেমার পুরস্কার না পেলেও সহ-অভিনেত্রীর পদক ফসকে যায়নি! এর আগে ইয়া-জাং উন বাফটা, স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট অ্যাওয়ার্ডস জিতে এগিয়ে ছিলেন। তাই তাঁর অস্কার জয় মোটামুটি অবধারিত ছিলো।
একই শাখায় আরও মনোনয়ন পেয়েছিলেন মারিয়া বাকালোভা (বোরাট সাবসিকোয়েন্ট মুভিফিল্ম), গ্লেন ক্লোজ (হিলবিলি এলিজি), অলিভিয়া কোলম্যান (দ্য ফাদার) ও আমান্ডা সাইফ্রায়েড (ম্যাঙ্ক)। তাঁদের মধ্যে গ্লেন ক্লোজ অষ্টমবারের মতো ফিরলেন খালি হাতে।
গত পাঁচ দশক ধরে দক্ষিণ কোরিয়ার টিভি ও চলচ্চিত্রে কাজ করছেন ইয়া-জাং উন। ১৯৪৭ সালে উত্তর কোরিয়ায় জন্ম তাঁর। তবে বড় হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে। খুব ছোটবেলাতেই তাঁর বাবা মারা যায়। আরো দুই বোনের লেখাপড়া নিশ্চিত করতে গিয়ে ইয়া-জাং উন এর পড়াশোনাটা আর হয়নি।
পরবর্তী ১৭ বছর তিনি শুধু অভিনয়ই করে গেছেন। পেয়েছেন আকাশছোঁয়া সাফল্য। কিন্তু এ পথচলায় ছেদ পড়ে ১৯৭৪ সালে। ওই বছর বিয়ে করে আমেরিকায় পাড়ি দেন ইয়া-জাং উন। দীর্ঘ এক দশক তিনি অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন। কিন্তু যে কারনে এতবড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেই সংসার করাই হয়ে ওঠেনি।
১৯৮৪ সালে আবার কোরিয়ায় ফিরে আসেন। এর তিন বছর পর তাঁর বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। কোরিয়ায় ফিরে আবার তিনি মনোযোগি হন অভিনয়ে।
সূত্র: মিড-ডে, দ্য গার্ডিয়ান