‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার কথিত সহ–প্রযোজক রহমত উল্ল্যাহর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিতে গেছেন নায়ক শাকিব। দেড় ঘণ্টার বেশি সময় থানায় অবস্থানের পর বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রহমত উল্ল্যাহ ওই সিনেমার প্রযোজক নন। তিনি একজন প্রতারক। এ বিষয়ে থানার থেকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে গত বুধবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে চিঠি দেন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার অন্যতম প্রযোজক দাবিদার রহমত উল্ল্যাহ। নির্মিতব্য সিনেমাটি নিয়ে শাকিবের অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস, এক সহপ্রযোজককে ধর্ষণ এবং দায়িত্বে অবহেলার মাধ্যমে চলচ্চিত্রটির ক্ষতি সাধনের অভিযোগ করেছেন তিনি।
রহমত উল্ল্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতেই আজ শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গুলশান থানায় প্রবেশ করেন শাকিব খান। সাড়ে ১২টার পর থানা থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
শাকিব খান বলেন, ‘রহমত উল্ল্যাহ আসল প্রযোজক নন, উনি কোনো প্রযোজকই না। আমার সিনেমার প্রযোজকও তাঁকে চেনেন না। ভারটেক্স মিডিয়া এই সিনেমার প্রযোজক। এ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার জানে আলম। মহরত যখন হয় অস্ট্রেলিয়াতে অ্যারেঞ্জার হিসেবে হয়তো তাঁকে (রহমত উল্ল্যাহ) কাজ দেওয়া হয়।’
ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব বলেন, ‘রহমত উল্ল্যাহ কে? আমি তাকে চিনি না। তিনি কিসের ক্ষতিপূরণ চাইছেন, কিসের টাকা চাইছেন? আমি সেই অভিযোগই দিতে এসেছি। থানা পরামর্শ দিয়েছে, এ মামলাগুলো কোর্টে করলে ভালো হয়। মামলা করার জন্য আমি কোর্টে যাব। আমি আমার লিগ্যাল অ্যাডভাইজারদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলব।’
শাকিব আরও বলেন, ‘২০১৬ সালে যখন এ সিনেমার চুক্তি হয় তখনই সেখানে প্রযোজকের নাম লিপিবদ্ধ হয়েছে। সে (রহমত উল্ল্যাহ) শুধু টাকা দাবি করছে। এটা ট্র্যাপ।’
এ সময় শাকিব খানের আইনজীবী পরিচয় দেওয়া একজন নিজেকে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী পরিচয় দিয়ে বলেন, তাঁর নাম খায়রুল। তিনি বলেন, ‘নারীঘটিত কোনো কেলেঙ্কারি থাকলে তো অস্ট্রেলিয়াতে উনি (শাকিব খান) গ্রেপ্তার হতেন। সেখানকার পুলিশ তদন্ত করেছে। তারা বলেছে, এটা হানিট্র্যাপ ছিল। একটা চক্র ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দু–এক দিনের মধ্যে আমরা ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৮৫ ধারায় মামলা করবো। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার করার চিন্তাও আছে।’