প্রয়াত অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী ছিলেন প্রবল রাজনীতিসচেতন। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। হয়েছিলেন সংসদ সদস্যও। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছিলেন তিনি।
এ নিয়ে গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে কবরী বলেন, ‘একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে, সাধারণ মানুষ, একজন অভিনেত্রী এবং শিল্পী হিসেবে মানবতা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আমি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম।’
মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। ১৭ এপ্রিল (শনিবার) বাদ যোহর কবরীর জানাযা ও দাফন হবে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে। এর আগে সেখানে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে তাঁকে।
সারাহ বেগম কবরীর দীর্ঘদিনের চেনা জায়গা বিএফডিসি। দেশে করোনা পরিস্থিতি অবনতির কারণে সেখানে নেওয়া হচ্ছে না তাঁকে। কবরীর একমাত্র জানাযা হবে বনানী কবরস্থানে। জানাযার পর সেখানেই হবে দাফন।
প্রায় এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) চিত্রনায়িকা সারাহ বেগম কবরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এর পর নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। সেখানেই ১৬ এপ্রিল (শুক্রবার) রাত ১২টা ২০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এ অভিনেত্রী।
১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের পরিচালনায় ‘সুতরাং’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ার শুরুর ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘ময়নামতি’, ‘ঢেউয়ের পর ঢেউ’, ‘পরিচয়’, ‘দেবদাস’, ‘অধিকার’, ‘বেঈমান’, ‘অবাক পৃথিবী’, ‘সোনালী আকাশ’, ‘দীপ নেভে নাই’-এর মতো দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন কবরী।
আরো পড়ুন: