অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতির কাজের পরিধি অনেক। অভিনয়ের বাইরেও যুক্ত আছেন প্রযোজনার সঙ্গে। নিজের কৃষি উদ্যোগ ‘খনা’ নিয়েও ব্যস্ততা আছে তাঁর। জ্যোতি অভিনীত ছবি ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ সেন্সরে জমা পড়েছে। আগামী বিজয় দিবস অথবা স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পাবে। সবকিছু নিয়েই জ্যোতিকা জ্যোতির সঙ্গে কথা বলেছেন খায়রুল বাসার নির্ঝর
নির্মাতা নুরুল আলম আতিকের ছবি ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’র কাজ শেষ, ইতিমধ্যে সেন্সরে জমা পড়েছে। এ ছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন?
ডাবিং করতে গিয়ে ছবিটার একটুখানি দেখেছি। আমি তো বেশ কিছু মুক্তিযুদ্ধের ছবি করেছি এর আগে। আমার কাছে মনে হয়েছে, এটা একটা কমপ্লিট মুক্তিযুদ্ধের ছবি। ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’তে মুক্তিযুদ্ধের আবহ যতটুকু দেখানো হয়েছে, সেটা ভীষণ ন্যাচারাল। নির্দিষ্ট কোনো একটা পরিবার বা ব্যক্তিগত কারও গল্প নয় এটি। আমরা যখন একটা ছবি দেখি, তাতে নির্দিষ্ট কারও গল্পই দেখা যায়। কিন্তু আশপাশে যে আরও অনেকেই আছে, সেগুলো অনুপস্থিত থাকে। এ ছবিতে কমপ্লিট একটা চিত্র পাওয়া যাবে। ছবিটি নিয়ে আমি আশাবাদী।
আসলে আতিক ভাই তো বিশাল ক্যানভাসের সিনেমা ভাবেন। প্রথম দিকে তাঁর মতো করে হচ্ছিল না। সবকিছু প্রপার না হলে সাধারণত তাঁকে কাজ করতে দেখি না। এসব কারণে কিছু দিন শুটিং বন্ধ ছিল। তবে অবশেষে ছবিটি এখন যেমন দাঁড়িয়েছে, সেটা আমার কাছে ভালো লেগেছে।
যোগাযোগব্যবস্থার জন্য গৌরীপুর জায়গাটা খুব ডেভেলপড না। থাকা-খাওয়ার ভালো ব্যবস্থা নেই। আমাকেও প্রোডাকশন লেভেলে কিছুটা হেল্প করতে হয়েছে। শুটিং দেখার জন্য এলাকাবাসী খুব উৎসুক ছিলেন। একে তো সিনেমার শুট, দ্বিতীয়ত আমি আছি—প্রচুর মানুষ ভিড় করেছিল। স্থানীয়রা অনেক হেল্প করেছেন। এ ছবিতে প্রথমবারের মতো আমার এলাকাটি বড় পর্দায় দেখা যাবে, আমার এলাকার অনেকে অভিনয়ও করেছেন এ ছবিতে; এগুলোও আমার জন্য অনেক ভালো লাগার বিষয়।
আপনার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘রে হাউস’ থেকে নির্মিত প্রথম ছবি ‘সাইকেল বালক’ কবে মুক্তি পাবে?
এরই মধ্যে কলকাতার প্রযোজনা সংস্থা শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের কাছে ছবির অনলাইন রাইটস বিক্রি হয়ে গেছে। কিন্তু ডিরেক্টরকে আমি প্রপারলি পাচ্ছি না। তাঁকে অতটা প্রফেশনাল মনে হচ্ছে না।
এটা নিয়ে আমি ফেসবুকে লিখতেও চেয়েছিলাম গতকাল। গল্প খুঁজছিলাম। হিউজ রেসপন্সও পাচ্ছি। কিন্তু যাঁরা গল্প পাঠাচ্ছেন তাঁরা সবাই সৌখিন ধরনের। ইন্ডাস্ট্রির লোকজনের কাছে যতটা সাড়া পাওয়ার আশা করছিলাম, ততটা পাইনি। কাজের প্রতি যাঁদের ড্রিম এবং অনেস্টি বেশি আমি তাঁদের নিয়েই মুভ করতে চাই। অলরেডি একটা গল্প চূড়ান্ত হয়েছে। সেটা নিয়েই সামনে এগোব।
অনেক দিন আপনি অভিনয়ে নেই।
খুব তাড়াতাড়ি। কলকাতায় একটা প্রজেক্ট করার কথা ছিল। করোনার কারণে সেটা পিছিয়েছিল। তারপর তো আমি কৃষি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম। এখন আমি আবার পুরোদমে অভিনয়ে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছি।