ঢাকা: কলকাতার প্রখ্যাত মেকআপশিল্পী অনিরুদ্ধ চাকলাদারের সঙ্গে একটি ফটোশুট করেছিলেন সুস্মিতা। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছিলেন অনিরুদ্ধ। চোখে পড়ে চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের গায়ক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের, যিনি এখন সিনেমাও বানাচ্ছেন। ছবি দেখে অনিন্দ্য জিজ্ঞেস করেন, ‘এই মেয়েটির নাম কী? বাংলা বলতে পারে?’ এই দুটি প্রশ্নেই নির্ধারিত হয়ে যায় সুস্মিতার পরবর্তী পথচলা। সুযোগ পেয়ে যান ‘প্রেম টেম’ সিনেমায়।
বড় পর্দায় এটিই তাঁর প্রথম কাজ। এর আগে ২০১৯ সাল থেকে তিনি অল্পস্বল্প মডেলিং করতেন। আরও বড় পরিসরে কাজের সুযোগ খুঁজছিলেন। ‘প্রেম টেম’ এসে সেই সুযোগটা মিলে যায়। ভেঙ্কটেশ ফিল্মস তাঁকে অডিশনের জন্য ডাকে। অনেকের মধ্য থেকে তাঁকেই নির্বাচিত করেন নির্মাতা-প্রযোজক।
ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে চাকরিও পেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা ছেড়ে মডেলিং শুরু করেন। সুস্মিতা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল অভিনেত্রী হওয়ার। কিন্তু সব মধ্যবিত্ত পরিবারের মতোই আমার মা–বাবাও শর্ত দিয়েছিলেন। বলেছিলেন গ্র্যাজুয়েশন করার পর নিজের ইচ্ছেমতো পেশা বেছে নিতে পারি।’
কিন্তু মডেলিংয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়া অত সহজ ছিল না। বিশেষ করে সুস্মিতার মতো মফস্বল থেকে উঠে আসা মেয়ের জন্য তো ছিল আরও কঠিন। অনেকেই সুযোগ নিতে চেয়েছেন। বলছেন সুস্মিতা, ‘অনেকেই ভেবেছে মফস্বল থেকে উঠে আসা মেয়ে। কাজের পরিবর্তে সুযোগ নেওয়া যায়। ইন্ডাস্ট্রির অনেক বড় নামও আছে তাঁদের মধ্যে। একটু একসঙ্গে সময় কাটানো, কফি খাওয়ার কথাও শুনেছি। কিন্তু নিজেকে সামলে নিয়েছি।’
সুস্মিতা হাজির হয়েছেন ওয়েব সিরিজ নিয়ে। তরুণ নির্মাতা মৈনাক ভৌমিকের ‘মারাদোনার জুতো’ প্রকাশ পেয়েছে হইচই-য়ে। ছয় পর্বের এ ওয়েব সিরিজে সুস্মিতার নাম হিয়া। দত্ত পরিবারের মেয়ে। পেশায় ফ্যাশন ব্লগার। সাজগোজ নিয়ে ভিডিও তৈরি করে। এক জোড়া জুতা নিয়ে দুই পরিবারের দ্বন্দ্ব, তাঁর মধ্যে প্রেম- সব মিলিয়ে জমজমাট এ সিরিজ সুস্মিতাকে অনেকটা পথ এগিয়ে দিয়েছে।
মাটন বিরিয়ানি, পোলাও, লুচি–মাংস, মিষ্টি
টাইটানিক, রাজি, শোলে, বদলা
‘মনমর্জিয়া’ সিনেমায় তাপসী পান্নুর চরিত্রটি
ক্যুইন্স গ্যাম্বিট স্পাই
বহু মনরথ, রাত যায় রাত যায়, এভাবেও ফিরে আসা যায়, আই অ্যাম আ মেস