সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (বৈছাআ) চার নেতাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন একই সংগঠনের এক নেত্রী। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি, অপহরণের চেষ্টা ও হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সিলেট মহানগর হাকিম দ্বিতীয় আদালতে মামলাটি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলা আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম সংগঠক সুমাইয়া আক্তার।
সুমাইয়া নিজেই আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সিলেট নগরের কিনব্রিজ-সংলগ্ন সারদা হলের সামনে ৭ মে বেলা ৩টার দিকে আসামিরা তাঁকে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দেন। এ ঘটনায় পরদিন কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলে ১০ মে বিকেল ৫টার দিকে একই জায়গায় তাঁরা তাঁকে অপহরণের চেষ্টা করেন। তখন তাঁর ওপর হামলা করে সঙ্গে থাকা ১০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন।
মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক সালমান আহমদ খুরশেদ, যুগ্ম সদস্যসচিব ফখরুল হাসান ও রেদোয়ান মুনসির নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা আটজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ওয়াহিদুর রহমান জানান, আদালতের বিচারক ছগির আহমেদ অভিযোগ আমলে নিয়ে কোতোয়ালী থানার পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
যোগাযোগ করা হলে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন নুরুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘মুখপাত্রের পদ দাবি করেছিলেন উনি (সুমাইয়া)। সেটা না দেওয়ায় তৃতীয় ব্যক্তির ইন্ধনে আমাদের এবং বৈছাআকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্নের উদ্দেশ্যে মামলাটি করেছেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
আরও খবর পড়ুন: