ঋণ রেখে মারা গেছেন স্বামী। ব্যাংক থেকে নোটিশ পেয়েছে দ্বিগুণের বেশি সুদ দিয়েছেন বিধবা। এরপরও ঋণ শোধ হয়নি। এখন কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি।
ব্যাংকের ঋণ নিয়ে বিপাকে পড়া বিধবা মোতাহারা জানান, তাঁর স্বামী তোফাজ্জল হোসেন মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন। ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে জনতা ব্যাংক শঠিবাড়ি শাখা থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নেন তিনি। সাড়ে ১৭ হাজার টাকা কিস্তি দিয়েছেন। বাকি ঋণ পরিশোধ করার আগেই তিনি ২০১৭ সালের মে মাসে হঠাৎ করেই হার্টঅ্যাটাকে মারা যান তিনি।
তোফাজ্জলের মৃত্যুর পর জনতা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ২ লাখ ১৮ হাজার ৫৪৩ টাকা পরিশোধ করার জন্য মোতাহারাকে নোটিশ দেয়। এমন নোটিশ পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। যোগাযোগ করেন ব্যাংক ব্যবস্থাপকের সঙ্গে। ব্যাংক ব্যবস্থাপক আংশিক টাকা জমা দিয়ে সুদ মওকুফ করার জন্য আবেদন করতে বলেন।
মোতাহারা ধার দেনা করে ৮৩ হাজার ২০০ টাকা পরিশোধ করে সুদ মওকুফের আবেদন করেন। কিন্তু সুদ মওকুফের বদলে আরও ৭১ হাজার ৫৪৩ টাকা আদায় করার জন্য মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনতা ব্যাংক শঠিবাড়ি শাখার ব্যবস্থাপক মাইদুল হক সরকার বলেন, সুদ মওকুফের আবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু আবেদন মঞ্জুর করা হয়নি।
দিশেহারা মোতাহারা এখন স্বামীর ঋণের সুদ মওকুফের আবেদন নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।