রংপুরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে এবারের ইজতেমা। মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মোনাজাত শুরু হয়ে শেষ হয় সাড়ে ১২টায়। ৩০ মিনিটের মোনাজাতে লাখো মুসল্লির আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছিল ইজতেমা ময়দান।
মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল আহলে শুরার সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন। এর আগে ফজরের নামাজের পর আম বয়ান শুরু হয়। পরে হেদায়েতি বয়ান শেষে আখেরি মোনাজাত হয়।
এ বছর রংপুর মহানগরীর আলমনগর স্টেশন রোড সংলগ্ন আরডিসিসিএস মাঠ এলাকায় তিন দিনব্যাপী এ ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছিল। ২০১০ সাল থেকে রংপুরে ইজতেমা হয়ে আসছে। এবার রংপুরে অষ্টমবারের মতো ইজতেমা সম্পন্ন হলো।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আগের দিন রাত থেকেই রংপুর জেলাসহ আশপাশের জেলার বিভিন্ন এলাকার তাবলিগ জামাতের অনুসারীরা ইজতেমাস্থলে পৌঁছান। এ ছাড়া আজ শনিবার ভোর থেকে রংপুরের বিভিন্ন এলাকার লোকজন দলে দলে ইজতেমা ময়দানে আসেন।
রংপুর নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডসহ জেলার আট উপজেলার তাবলিগ জামাতের অনুসারীসহ বিভিন্ন এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষ এতে অংশ নেন। মোনাজাতের সময় অনেককে মাঠের আশপাশের রাস্তা, অলি-গলি, বিভিন্ন বাসা-বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ভবনের ছাদে অবস্থান করতে দেখা গেছে। আখেরি মোনাজাতে মুসল্লিদের আসা-যাওয়া নিরাপদ করতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
তিনি আরও জানান, ইজতেমায় রাজধানী ঢাকা ছাড়াও মরক্কো, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ চারটি দেশের তাবলিগের জামাতের বিদেশি মেহমান ও মুরব্বিরা অংশ নেন। তাঁরা তিন দিনের এই ইজতেমায় ইমান-আমলের বয়ানের মাধ্যমে দ্বীনের দাওয়াতে উদ্বুদ্ধ করেন।
এবার রংপুর ইজতেমা থেকে ইসলাম, ইমান, আমলের শিক্ষা ও আল্লাহর দ্বীন প্রচারের উদ্দেশ্যে প্রায় শতাধিক জামাত বের হবে। এসব জামাতের সাথিরা এক চিল্লা (৪০ দিন) এবং তিন চিল্লা (১২০) পূর্ণ করার নিয়ত করেছেন।