হোম > সারা দেশ > গাইবান্ধা

সুন্দরগঞ্জে লোডশেডিং, অতিষ্ঠ নাগরিক জীবন

প্রতিনিধি, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)

দিনে প্রখর রোদ, তীব্র দাবদাহ। রাতে ভ্যাপসা গরম। সঙ্গে আছে লোডশেডিং। ২৪ ঘণ্টায় কখনো ১৫-২০ বার, কখনো ১০ মিনিটের মধ্যে ৪-৫ বার আবার কখনো ঘণ্টায় ৯ বার হয় লোডশেডিং। কোনো ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার এই লোডশেডিং। ফলে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নাগরিক জীবন। 

পল্লি বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় গ্রাহকসংখ্যা প্রায় এক লাখ ১৫ হাজার। বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ফিডার (লাইন) রয়েছে ১২টি। সুন্দরগঞ্জে আছে ৬টি। ৫ নম্বর ফিডার (ই) দিয়ে চলে সুন্দরগঞ্জ বাজার ও পৌরসভা। যার আওতায় রয়েছে বিদ্যুৎ অফিস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা প্রশাসন, থানা, সুন্দরগঞ্জ বাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকার কিছু অংশ। ১ নম্বর ফিডার (ডি) দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় উত্তর বামনজল, মীরগঞ্জ বাজার, পুরো তারাপুর ইউনিয়ন, ঘগোয়াসহ পীরগাছা উপজেলার কিছু অংশ ও বাকি ৪টি ফিডার দিয়ে অন্যান্য এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। বাকি ৬টি ফিডার আছে সতিরজানে। এ ৬টি দিয়ে বালারছিড়া, বেলকা ও মজুমদারসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ চলে। 

বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ, সুন্দরগঞ্জের লোডশেডিং অনেক দিনের। সেই সঙ্গে রয়েছে লো-ভোল্টেজ। ইদানীং তা ক্রমে বেড়েই চলেছে। পৌর শহর এলাকায় কিছুটা কম হলেও গ্রাম পর্যায়ে অসহনীয় লোডশেডিং। সেটি কখনো ঘন ঘন আবার কখনো দীর্ঘ সময় ধরে চলে। আর বিদ্যুৎ থাকলেও সঙ্গে থাকে লো-ভোল্টেজ। বারবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া এবং লো-ভোল্টেজের কারণে প্রতিনিয়ত ফ্রিজ, টিভি, ফ্যানসহ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়া। এ ছাড়া অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বয়স্ক লোকজন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। 

পল্লি বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং সইতে না পেরে ইদানীং অনেকে যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও বিভিন্ন সমালোচনা করছেন। কবি ও সাহিত্যিক কঙ্কণ সরকার তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘সুন্দরগঞ্জের কারেন্টওয়ালারা দয়া করে এভাবে আর বিজলী বাতির মতো লোডশেডিং এ ফেলবেন না। সারা দিনে যে কতবার এল গেল! যদি লোডশেডিং দিতে হয় নির্দিষ্ট সময় দিয়ে তারপর কারেন্ট সাপ্লাই করুন। আমাদের ইলেকট্রনিক জিনিসপত্রের মূল্য আছে। কারেন্টের এভাবে ফুরুৎ ফুরুৎ আসা যাওয়াতে নষ্ট হলে আপনারা কি ক্ষতিপূরণ দেবেন?’ 

পিন্টু সরকার আরেজন জানান, শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা সুন্দরগঞ্জ। এখানে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে প্রত্যেকদিন ৮ / ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। এটি গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল বলে মনে করেন তিনি। 

বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ফলগাছা বাজারের টিভি মেকার আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সব সময় আমার দোকানে নষ্ট টিভি, ফ্রিজ ও ফ্যানসহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি আসে মেরামত করাতে। ইদানীং এর সংখ্যাটা বেশ বেড়েছে। আর এটি লো-ভোল্টেজের কারণে বেশি হচ্ছে।’ 

ফলগাছা বাজারের ব্যবসায়ী মশিউর রহমান বলেন, ‘কম্পিউটার চালু করতে ৩-৪ মিনিট লাগে। কখনো কখনো কম্পিউটার চালুর আগেই আবার বিদ্যুৎ চলে যায়। এরই মধ্যে লোডশেডিংয়ের কারণে কম্পিউটার কয়েকবার নষ্ট হয়েছে। ব্যবসার অনেক ক্ষতি হচ্ছে।’ 

রংপুর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-১ সুন্দরগঞ্জ জোনাল ম্যানেজার মিলন কুমার কুন্ড লোডশেডিংয়ের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, `চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম। এখানে সর্বোচ্চ চাহিদা আমাদের ১৮-১৯ মেগা ভোল্ট এমপিয়ার। সেখানে প্রত্যেকদিন বরাদ্দ কম পাই ৫-৬ মেগা ভোল্ট এময়ির। গত এক সপ্তাহ পর্যালোচনা করলে গড়ে আমার ঘাটতি আছে গড়ে শতকরা ২০ শতাংশ। সে কারণে লোডশেডিং হচ্ছে।' 

সারজিসের নগদ টাকা আছে ৩ লাখ ১১ হাজার, পেশায় ব্যবসায়ী

পীরগঞ্জে তাল, খেজুরসহ বিভিন্ন গাছের মাথা কেটে দিলেন পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা

কোরআন-সুন্নাহবিরোধী আইন করতে দেব না, এটা আমাদের অঙ্গীকার: মির্জা ফখরুল

তীব্র শীতে কাঁপছে মানুষ গুদামে তালাবদ্ধ কম্বল

ভূরুঙ্গামারীতে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষ, যুবক নিহত

ফুলবাড়ীতে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

পঞ্চগড়ে চার দিন ধরে ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীত

ফুলবাড়ীতে ট্রলির চাপায় সহযোগী নিহত

কাউনিয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, যুবক গ্রেপ্তার

বিশেষ ট্রেনের দাবিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের রেলপথ অবরোধ, ছেড়ে যায়নি লালমনি এক্সপ্রেস