সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুরের বিরামপুরের দুটি ইউনিয়নের ১০ গ্রামের বেশ কিছু মুসল্লি ঈদুল ফিতরের নমাজ আদায় করেছেন। দুই জামাতে পুরুষ মুসল্লির পাশাপাশি নারীরাও নামাজ আদায় করেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিরামপুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার জোতবানি ইউনিয়নের খয়েরবাড়ী-মির্জাপুর গ্রামের মেহেদী হাসান সুমনের বাড়ির সামনে এবং একই সময় আয়ড়া মাদ্রাসা মাঠে ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দুই জামাতে ১০ গ্রামের দেড় শতাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। খয়েরবাড়ী জামে মসজিদে মো. দেলোয়ার হোসেন কাজী এবং আয়ড়া মাদ্রাসা মাঠের আল-আমিন জামাতের ইমামতি করেন।
উপজেলার আয়ড়া মাদ্রাসা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সময় হওয়ার আগেই দূর-দূরান্তের গ্রামগুলো থেকে কেউ ভ্যানে আবার কেউ সাইকেল বা মোটরসাইকেলে করে এসে একত্রিত হচ্ছেন। নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে ৮টায় ওই এলাকার মাদ্রাসা মাঠে আল আমিনের ইমামতিতে নামাজ শুরু হয়।
সৌদি আরবের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করার বিষয়ে জানতে চাইলে খয়েরবাড়ী জামাতের ইমাম মো. দোলোয়ার হোসেন কাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র তিন ঘণ্টা। এই তিন ঘণ্টার ব্যবধানে দিনের পরিবর্তন হয় না। তাই এই নামাজ আদায় করা।’
ঈমাম দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘১৯৯৭ সাল থেকে এভাবে নামাজ আদায়ের পরিকল্পনা থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নামাজ আদায় করছি।’
নিরাপত্তার বিষয়ে বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিরামপুর উপজেলার জোতবানি ও বিনাইল ইউনিয়নে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’