বাংলাদেশের মানুষ মিশর বলতেই মনে করেন নীলনদ, পিরামিড আর ফেরাউনের দেশ। অনেকেই হয়তো আরেকটু এগিয়ে মিসরকে রানি ক্লিওপেট্রার দেশ হিসেবেও চেনেন। সেই দেশেরই এক তরুণী এক বাংলাদেশি যুবকের হৃদয়ের ক্লিওপেট্রা হয়ে উঠেছেন। ২০১৮ সালে নিজেদের ভালোবাসার পূর্ণতা দিতেই মিসরীয় নুরহানকে (২২) বিয়ে করেন বাংলাদেশি যুবক শমসের।
মরুর দেশ মিসরের কন্যা নুরহানকে নদীমাতৃক বাংলাদেশ দেখাতেই গত ১০ জুলাই ২ সন্তান নিয়ে ২ মাসের ছুটিতে দেশে ফেরেন শমসের। ভিনদেশি বধূ ঘরে আসায় খুশির আমেজ বিরাজ করছে শমসেরের পরিবারে। মিসরীয় তরুণী আসার খবরে আশপাশের এলাকার মানুষের পদচারণায় মুখরিত শমসেরের বাড়ির আঙিনা।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ৩ নম্বর শতগ্রাম ইউনিয়নের অর্জনুহার গ্রামের কৃষক বাদশা মিয়ার ছেলে শমসের ২০০৮ সালে কাজের উদ্দেশ্যে মিসর যান। দেশটির গিজা এলাকায় একটি কারখানায় কাজ শুরু করেন তিনি। দীর্ঘ ১০ বছর দেশটিতে কাটিয়ে মায়ার বাঁধনে পড়ে যান তিনি। ২০১৮ সালে একটি গার্মেন্টস কারখানায় কাজের সুবাদে কায়রোর মানসাইয়া এলাকার আলী জাকীর কন্যা নুরহানের (২২) সঙ্গে পরিচয় হয় শমসেরের। পরিচয়ের দুই মাসের মাথায় নুরহানের পরিবারের সম্মতিতেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা।
ইতিমধ্যে শমসের ও নুরহানের সংসারে জন্ম নিয়েছে দুই সন্তান। বড় মেয়ের বয়স ৩ বছর, নাম রাখা হয়েছে রুকাইয়া এবং ছেলে মো. ইয়াসিন ১১ মাস বয়সী।
শমসের জানালেন, স্ত্রী নুরাহন এবং দুই সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই আছেন তিনি। পিরামিডের দেশ মিশরের রাজধানী কায়রো শহরে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন নিজস্ব গার্মেন্টস। আবারও সেখানে ফেরার ইচ্ছা তাঁর।