পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও নতুন কারিকুলামে অসংগতি দূরীকরণের দাবিতে রংপুরে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম জেলা ও মহানগর কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ শিক্ষকেরা। এতে অংশ নিয়ে সংহতি জানান ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরাও।
সমাবেশে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের রংপুর জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল আলীমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রংপুরের মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমান কাসেমী, সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান পিয়াল, রংপুর জেলার সভাপতি মাহমুদুর রহমান রিপন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন রংপুর জেলা সভাপতি একরামুল হক, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগর সভাপতি মামুনুর রশিদ, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি তহমিদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের রংপুর মহানগরের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, জেলার সম্পাদক মশিউর রহমান প্রমুখ।
জাতীয় শিক্ষক ফোরামের রংপুর মহানগরের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুর রহিম বলেন, ‘সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে শরীফার গল্পের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ট্রান্সজেন্ডারের প্রতি আকৃষ্ট করা হয়েছে। সুকৌশলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মনে ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি প্রেরণা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া এক নয়, এদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। হিজড়ারা জন্মগতভাবেই কিছুটা বিকৃত অঙ্গ নিয়ে জন্মায়। এটা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। কিন্তু ট্রান্সজেন্ডারদের শারীরিক কোনো ত্রুটি থাকে না, তারা মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রংপুরের মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমান কাসেমী মানববন্ধনে বলেন, ‘বিকৃত যৌন রুচির ও মানসিক বিকারগ্রস্ত ট্রান্সজেন্ডারদের কার্যকলাপ সুকৌশলে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করে দেশে প্রচার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এতে করে দেশের আপামর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করা হচ্ছে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রংপুরের মহানগর সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান পিয়াল বলেন, ‘কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকারগ্রস্ত ও ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি আকৃষ্ট করার চেষ্টা চলছে। অবিলম্বে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই থেকে শরীফ ও শরীফার গল্প বাদ দেওয়াসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বইয়ের দোকান থেকে এই পাঠ্যপুস্তক প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের নতুন সংশোধিত বই সরবরাহ করতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহাতাবকে স্বপদে বহাল করতে হবে। অন্যথায় আড়ং, ব্রাক ব্যাংক ও বিকাশে লেনদেন বয়কয়টের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।