রংপুরের কাউনিয়ায় স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় যেতে পারবে না বলে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে অভিমান করে আরফানা আক্তার আঁখি (১৮) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গত বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় দিকে উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের হরিচরণশর্মা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আরফান আক্তার আঁখি পীরগাছা উপজেলার জুয়ানের চর গ্রামের আহম্মেদ আলীর মেয়ে ও কাউনিয়া উপজেলার হরিচরণশর্মা গ্রামের হামিদুল ইসলামের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা লোকজন জানায়, এক বছর আগে আরফিনা আক্তার আঁখি ও হামিদুল ইসলামের বিয়ে হয়। হামিদুল পেশায় একজন দিনমজুর। এলাকায় তেমন কাজকর্ম না থাকায় হামিদুল ভালো মজুরিতে কাজকর্ম করার আশায় ঢাকায় যেতে প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু স্বামীকে ছাড়া বাড়িতে একা থাকতে পারবে না বলে জানায় আরফানা আক্তার আঁখি। সে স্বামীর সঙ্গে ঢাকা যাওয়ার জন্য জেদ করে বসে। কিন্তু গৃহবধূকে স্বামীর সঙ্গে ঢাকা যেতে মানা করে ওই গৃহবধূর পিতা-মাতা ও স্বামীসহ তাঁর পরিবারের লোকজন।
আর স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় যেতে পারবে না বলে ওই গৃহবধূ তার পিতা-মাতা ও স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে গত বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে স্বামীর বাড়িতে নিজ শোয়ার ঘরে আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পরিবারের লোকজন টের পেয়ে ঝুলন্ত থাকা গৃহবধূর মরদেহ মাটিতে নামায়।
পরে খবর পেয়ে বুধবার রাত সাড়ে দশটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের স্বামী হামিদুল ইসলাম জানায়, আমার শ্বশুর শাশুড়ি তাঁদের মেয়েকে ঢাকায় যেতে মানা করেছে। মানা উপেক্ষা করে আমি তো নিয়ে যেতে পারি না। আমার সঙ্গে ঢাকায় যেতে পারবে না বলে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় যেতে পারবে না বলে পিতা মাতা ওর স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর পরিবারের লোকজনের কোনো অভিযোগ না থাকায় তাঁদের মুচলেকা নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এ ব্যাপারে কাউনিয়া থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।