নীলফামারীর সৈয়দপুরে অভিযান চালিয়ে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার সকাল থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত রেলস্টেশন ও বিপণিবিতান কেন্দ্র সৈয়দপুর প্লাজা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন শহরের হাতিখানা এলাকার মৃত শফিকের ছেলে শামিম হোসেন (৪৫), মুন্সিপাড়ার আইনুল হকের ছেলে ফাতেমা কম্পিউটারের মালিক আরিফ হোসেন (৩০) ও একই এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে ও সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেটের দ্বিতীয় তলার গ্লোবাল কম্পিউটারের পরিচালক সারোয়ার সারফারাজ (৩৫)। আটক শামীম হোসেন সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের কুলির সর্দার।
আটককৃত শামীম হোসেন জানান, গতকাল সকালে কাউন্টারের একজনের কাছ থেকে টিকিট কিনে নিয়েছেন তিনি। পরে বেশি দামে বিক্রি করবেন। এ কাজ করেই তিনি সংসার চালান। তাঁর কাছ থেকে কম্পিউটার দোকানদারসহ অনেকেই টিকিট নেন। কুলি সর্দার আব্বাস ও রুবেল নামে এক মাছ ব্যবসায়ীও তাঁর মতো টিকিট কালোবাজারি করেন বলেও জানান শামীম হোসেন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুরের সহকারী পরিচালক সাফদারুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, আটককৃতদের স্টেশন মাস্টারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্টেশন মাস্টার তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। কালোবাজারিদের সহযোগীদের ধরতে দুদকের অভিযান চলমান থাকবে। একই সঙ্গে এ স্টেশনে যারা তিন বছরের বেশি সময় ধরে কর্মরত কর্তৃপক্ষকে তাদের তালিকা তৈরির জন্য বলা হয়েছে।
সহকারী পরিচালক আরও বলেন, আটককৃতদের কাছ থেকে রাতেই মুচলেকা নিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শামিম হোসেনের কাছে কালোবাজারে বিক্রির একটি টিকিটও পাওয়া গেছে।
ট্রেনের টিকিট বুকিং সহকারী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা যাবতীয় কার্যক্রম সচ্ছলভাবে চালাচ্ছি। যারা কালোবাজারি করছে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। এর জন্য যাত্রীদের পাশাপাশি সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।’
এ বিষয়ে সহকারী স্টেশন মাস্টার টুটুল চন্দ্র সরকার বলেন, এ ধরনের কাজ আর করবেন না বলে মুচলেকা নিয়ে আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।