জুলাই আন্দোলনে নয়ন হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি খোদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে মিটিং করলেও পুলিশের চোখে তিনি পলাতক।
আজ সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এক সভায় অংশ নেন হত্যা মামলার ৭৪ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি কামরুল ইসলাম কাজল।
কামরুল ইসলাম কাজল উপজেলার কুমড়িরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের মালগড়া গ্রামের ওলি আহমেদের ছেলে এবং সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের আত্মীয়। ইউএনও ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন।
তবে আদিতমারী ইউএনও বিধান কান্তি হালদার বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনের হত্যা মামলা রয়েছে, তা আমার জানা ছিল না। মামলা থাকলে পুলিশ তাঁকে কেন গ্রেপ্তার করছে না? জরুরি এক সভায় অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে তিনিও (কাজল) উপস্থিত ছিলেন।’
আদিতমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, ‘কুমড়িরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হত্যা মামলার আসামি, তা আমার জানা ছিল না। অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে তিনি মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। মামলার কোনো নথি আমাদের কাছে নেই।’
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আকবর বলেন, ‘আসামি প্রকাশ্যে ঘুরলেও আমাদের কিছু করার নেই। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিকে গ্রেপ্তার করবে। এটা যেহেতু মোহাম্মদপুর থানার মামলা, তাই ওই থানা ভালো বলতে পারবে। অন্য থানার মামলায় অভিযুক্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তারের কোনো নির্দেশনা আমাদের কাছে নেই।’