নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে শ্বশুরবাড়ি থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পুটিমারি ইউনিয়নের ধাইজান কিশামত গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ওই গৃহবধূর নাম সুমি আক্তার (২৪)। তিনি ওই এলাকার জাহিদুল ইসলামের ছেলে আতিকুল ইসলামের স্ত্রী। এই দম্পতির ১৩ মাস বয়সী এক ছেলে রয়েছে।
নিহতের স্বজন ও প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, গতকাল দিবাগত রাত ৩টার দিকে সুমির স্বামী গৃহবধূর মাকে মোবাইল ফোনে কল করে জানায় তাঁর মেয়ে গুরুতর অসুস্থ। এ খবর শুনে তাঁর মা ছুটে আসার পরে সুমির মরদেহ বিছানায় দেখতে পায়। তা দেখে শ্বশুরবাড়ির পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা জানায় আত্মহত্যা করেছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন ১৩ মাস বয়সী সন্তানকে কোলে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্বজনেরা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের মা শবিতন বেগম বলেন, ‘গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমার জামাই আমাকে মোবাইল ফোনে জানায় আপনার মেয়ে অসুস্থ। আমি এসে দেখি আমার মেয়ের নিথর দেহ বিছানায় পড়ে আছে। তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা আমাকে বলে সে আত্মহত্যা করেছে। পরে মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে তাঁদের জিজ্ঞেস করলে তারা সবাই বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। আমার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।’
কিশোরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নীলফামারী সদর হাসপাতালের মর্গে মরদেহ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।