রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু সার্জারি বিভাগে দুই মাথাবিশিষ্ট কন্যাশিশুর জন্ম হয়েছে। তিন দিন আগে জন্ম নেওয়া শিশুটি বেঁচে থাকলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকায় রেফার্ড করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আর্থিকভাবে অসচ্ছল হওয়ায় চিকিৎসার ভার বহনে অক্ষম শিশুটির পিতা।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের সেকেন্দার আলীর স্ত্রী আফরোজা বেগম রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে জন্ম দেন দুই মাথাবিশিষ্ট ওই কন্যাশিশুর। এ ধরনের নবজাতক অস্বাভাবিক এবং শিশুটির অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় বাধ্য হয়ে ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নবজাতকের পিতা সেকান্দার আলী পেশায় একজন মুদি দোকানি। শিশুটির চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন পরিবারের সদস্যরা। এমন অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে নবজাতকের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি করেছে শিশুটির পরিবার।
শিশুটির বাবা সেকেন্দার আলী জানান, ‘আমি সামান্য মুদি দোকানদার, আমার পক্ষে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয়। আমি সরকার ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছি।’
হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিম বলেন, ‘গত শনিবার রাতে সিজারের মাধ্যমে দুই মাথাবিশিষ্ট কন্যাশিশুটি জন্ম নেয়। এ ধরনের নবজাতক অস্বাভাবিক হওয়ায় আমরা ঝুঁকি নিতে চাইনি।’