আরও ছয় বছরের জন্য দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনির উৎপাদন, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেল জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম ‘জিটিসি’। গত মঙ্গলবার খনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে পুনরায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি, যা গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর ধরা হয়েছে।
নতুন চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ছয় বছরে ৮৮ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি। এর জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। এতে ১ মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করতে খরচ পড়বে প্রায় ১ হাজার ৪৪৫ টাকা। তবে বিগত চুক্তির তুলনায় এবার উৎপাদন খরচ কিছুটা কমেছে বলে খনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
২০০৭ সালের ২৫ মে মধ্যপাড়া কঠিন শিলাখনি বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায়। উৎপাদন শুরুর পর থেকে নানা প্রতিকূলতার কারণে পেট্রোবাংলা প্রতিদিন তিন শিফটে ৫ হাজার মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এক শিফটে গড়ে ১ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করে আসছিল। এর ফলে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত খনিটি ক্রমাগত লোকসান দিয়ে আসছিল। এ অবস্থায় ২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর খনির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয় জিটিসিকে। জিটিসি পূর্ণমাত্রায় পাথর উৎপাদন করায় পরপর টানা তিন অর্থবছর প্রায় ৫০ কোটি টাকা মুনাফা করে খনিটি।
প্রথম দফা চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় গত ২ সেপ্টেম্বর। নিয়ম অনুযায়ী, চুক্তি শেষ হওয়ার কমপক্ষে ছয় মাস আগে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়ার কথা। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে দফায় দফায় আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেও বিদেশিদের সাড়া মেলেনি। এ অবস্থায় খনির পাথর উৎপাদন অব্যাহত রাখার স্বার্থে এবং জিটিসির পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিয়ে গত মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দফা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে উৎপাদনের গতিশীলতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে চুক্তি কার্যকর করা হয় গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে।