ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) আপত্তির মুখে এবার হলো না দুই বাংলার (ভারত-বাংলাদেশ) মিলনমেলা। ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের কোঁচল ও ধর্মগড় ইউনিয়নের জগদল ক্যাম্প ঘেঁষা সীমান্তে এ মিলনমেলা হওয়ার কথা ছিল।
কালীপূজাকে কেন্দ্র করে নিয়মিত দুই বাংলার এ মিলনমেলা হতো। দুই পারের আত্মীয়স্বজনেরা দিনটির অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু বিএসএফের আপত্তির কারণে এবার স্থানীয় প্রশাসন কড়াকড়ি আরোপ করে। যে কারণে সীমান্ত এলাকায় লোকজন জড়ো হতে পারেনি।
আজ শুক্রবার সরেজমিন দেখা যায়, কোঁচল সীমান্তে যাওয়ার রাস্তায় বিজিবি, পুলিশ ও গ্রাম পুলিশের ব্যারিকেড দেওয়া রয়েছে। কেউ যেন সীমান্ত এলাকায় জড়ো হতে না পারে, সে জন্য এই পাহারা বসানো হয়েছে।
কোঁচল এলাকার দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপসহকারী পরির্দশক (এএসআই) মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘কেউ যেন সীমান্ত এলাকায় ঘেঁষতে না পারে, সে জন্য কোঁচল ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরাসহ আমরা পাহারায় রয়েছি। সকাল থেকে সীমান্তের কাছে যাবে এমন কাউকে পাওয়া যায়নি।’
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, বিএসএফের আপত্তির কারণে এবার দুই বাংলার মিলনমেলা হবে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রাণীশংকৈল উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা এলাকা, কোঁচল, কাশিপুর ও ধর্মগড় এলাকার মূল সড়কসহ বিভিন্ন অলিগলিতে পাহারা বসানো হয়েছে। কাউকেই সীমান্ত এলাকায় ভিড়তে দেওয়া হচ্ছে না।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেন, বিএসএফের আপত্তির কারণে এবারের মিলনমেলা হচ্ছে না। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রচার চালানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে সীমান্তে যাওয়ার রাস্তাঘাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে পাহারা বসানো হয়েছে। কোনোভাবেই যেন কেউ সীমান্তে ঘেঁষতে না পারে।