রংপুরে নিখোঁজের আট দিন পর দশম শ্রেণি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই শিক্ষার্থীর নাম রুবেল মিয়া (১৫)। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নের মদকপাড়া গ্রামের একটি ধানখেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) উৎপল কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত রুবেল মিয়া ছোট কল্যাণী তালতলা গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে। পুলিশ রুবেল নিখোঁজের ঘটনায় তার ভগ্নিপতি হাসান আলী ওরফে আপেল ও সোহাগ নামে দুজনকে আটক করেছিল। হাসান আলীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২ জুন রাত ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় রুবেল। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে বাবা বেলাল হোসেন গত ৩ জুন দুপুরে মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওই ডায়েরির সূত্র ধরে পুলিশ নিহতের ভগ্নিপতি হাসান আলী ওরফে আপেলকে সন্দেহভাজন হিসেবে সোমবার দুপুরে আটক করে। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত রুবেলের বাবা বেলাল হোসেন বলেন, ২ জুন রাত ৯টার দিকে রুবেল স্থানীয় বড়দরগা বাজারে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে ক্লাস করার জন্য বাসা থেকে বের হয়। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়ায় ৩ জুন দুপুরে মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানায় তিনজনের নাম দিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) উৎপল কুমার রায় বলেন, নিখোঁজের পর থেকে বিভিন্ন মোবাইল ফোন নম্বর থেকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন রুবেলের ভগ্নিপতি হাসান আলী ওরফে আপেল। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে রুবেলকে গলা কেটে হত্যা করেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে আসল রহস্য উদ্ঘাটিত হবে।