নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মাঠ থেকে আলু তোলা শুরু হয়েছে। দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকেরা খুবই খুশি। কোনো ঝামেলা ছাড়া মাঠে বসেই কৃষকেরা আলু বিক্রি করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, এই অঞ্চলে কৃষকেরা মাঠ থেকে নতুন আলু উঠাতে শুরু করেছে। অনুকূল আবহাওয়ায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো দাম পেয়ে কৃষকেরা খুশি।
জানা গেছে, প্রতি বছর এ উপজেলার ক্ষুদ্র-প্রান্তিক কৃষকেরা আগাম আমন ধান ঘরে তুলে আগাম বাজার ধরার আশায় আগেভাগে আলুর বীজ বোনেন। বর্তমানে সেই খেত থেকে আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে।
বাড়তি ঝামেলা ছাড়াই খেতে বসেই প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭৮ টাকায়। এ ছাড়া কয়েক দিনের মধ্যে পুরোপুরি মাঠ থেকে আলু উত্তোলন শুরু হবে। চলতি বছর ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর আগাম আলু আবাদ করা হয়।
উপজেলার রনচন্ডি ইউনিয়নের কুঠিপাড়া গ্রামের কৃষক নুরুল আলীম মাস্টার বলেন, ‘৭৮ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করেছি। যা খরচ বাদে দ্বিগুণ লাভ।’
একই গ্রামের হজরত আলী ৬২ শতক জমিতে আগাম আলু উত্তোলন করছেন। হজরত আলী বলেন, বরাবরের মতো চলতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বরে জমিতে ৫৫ থেকে ৬০ দিনে ফলনযোগ্য আগাম আলু বর্তমানে উত্তোলন করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজারে নতুন আলু উঠতে শুরু হয়েছে। চলতি বছর অনুকূল আবহাওয়ায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। চড়া দাম পেয়ে কৃষক পরিবার খুশি। আগাম আলু আগাম ধান চাষ করে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আনছেন।’