রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় যুবক খোরশেদ আলম (২০) হত্যা মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যসহ চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাঁদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার রংপুরের জ্যেষ্ঠ দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কাউনিয়া উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে ও কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের তিন নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শহিদুল ইসলাম, গদাধর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে রাসেল মিয়া, মহেশা গ্রামের শাহাজামালের ছেলে ইউনুস আলী এবং শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মামুন মিয়া। রায় ঘোষণার সময় তাঁরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের সঙ্গে মহেশা গ্রামের খোরশেদ আলমের পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন ২০২০ সালের ২০ মার্চ দিবাগত রাত ১১টার দিকে স্থানীয় ভরসা কোল্ড স্টোরেজ থেকে ডেকে নেন অভিযুক্তরা। পরে তাঁরা খোরশেদকে মহেশা গ্রামের মীরবাগ ডিগ্রি কলেজের পেছনে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ আম গাছে ডালের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন।
এ ঘটনায় খোরশেদ আলমের মা খোতেজা বেগম বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পাঁচ বছর পর রায় ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি আফতাব উদ্দিন। তিনি রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।