কাউনিয়ায় গোসল করতে গিয়ে তিস্তা নদীতে নিখোঁজের আট দিন পর শামীম ইসলাম কালু (১৯) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের তিস্তার চরাঞ্চল হয়বৎখা গ্রামে নদীর তীর থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শামীম ইসলাম কালু ঢাকার মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দা মৃত আজমের ছেলে। তিনি মৌমিতা বাসের হেলপার ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, ঈদের আগের দিন উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নে তিস্তা নদীর তীরবর্তী চর গনাই গ্রামে যাত্রী নিয়ে আসেন মৌমিতা নামে একটি পরিবহন। এরপর সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে তিনি ঢাকায় ফিরে যেতে পারেননি। এরপর থেকে ওই গ্রামে গাড়িসহ চালক রাসেল ও সুপারভাইজার স্বাধীন এবং হেলপার শামীম আটকে পড়েন। গত ২৬ জুলাই সোমবার দুপুরে তাঁরা তিনজন তিস্তা নদীর পাড়ে ঘুরতে যান। এ সময় শামীম গোসল করতে নদীতে নেমে পড়ে। কিন্তু সে সাঁতার জানত না। নদীতে স্রোত বেশি থাকায় শামীম পানিতে তলিয়ে যায়। পরে ৯৯৯ মাধ্যমে কাউনিয়া ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। কাউনিয়া ফায়ার সার্ভিসে কোনো ডুবুরি দল না থাকায় রংপুর থেকে একটি ডুবুরি দল এসে ৫ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে নিখোঁজের কোনো সন্ধান পায় না।
নিখোঁজের ঘটনার আট দিন পর মঙ্গলবার ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পূর্বে যুবকের মরদেহ নদীতে ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে।
কাউনিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসদার রহমান জানায়, গত কয়েক দিন আগে তিস্তা নদীতে এক যুবক গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। আজ সকালে নদীর তীরবর্তী গ্রামের লোকজন নদীতে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ ভাসতে দেখে। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে দুপুরের দিকে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।