নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস পারভেজের বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলামকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকালে জেল হত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ৯টায় ডিমলা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ওই মুক্তিযোদ্ধা। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে জেলার মুক্তিযোদ্ধারা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জেল হত্যা দিবস পালনে ডিমলা উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় সংগীত, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন ও বিজয় চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের কর্মসূচি নেওয়া হয়। এ জন্য দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জড়ো হতে থাকে।
সকাল ১০টার দিকে কর্মসূচিতে অংশ নিতে দলীয় কার্যালয়ে আসেন আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলামের সঙ্গে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস পারভেজ ও ছাত্রলীগের সভাপতি আবু সায়েম সরকারের পতাকা উত্তোলন নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে যুবলীগ নেতা ফেরদৌস পারভেজ বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ধাক্কা দেন। পরে যুবলীগ নেতা ফেরদৌস পারভেজের লোকজন জেলা হত্যা দিবসের ব্যানার ছিনিয়ে নেয়।
যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস পারভেজ বলেন, ‘গত ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মমতাজুল হকের বিরুদ্ধে এই উপজেলা চেয়ারম্যান ভোটের প্রচারণা চালিয়েছেন। জেলা পরিষদের নির্বাচনে সরাসরি নৌকার বিরোধিতা করে আজ তিনি জেল হত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলনসহ অন্যান্য কর্মসূচিতে অংশ নিতে এসেছিলেন। আমরা এটার বিরোধিতা করেছি। এ সময় ছাত্রলীগসহ দলের অন্যরা উপস্থিত ছিল।’
ডিমলা থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লাইছুর রহমান বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রাতে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’