রংপুরের পীরগাছায় পরপর দুই দিনের ঝড়ে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে উপজেলার ৬৮টি মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত খামারগুলো পরিদর্শন করে এ তথ্য দিয়েছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সালাম।
উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের চৌধুরাণী নামাপাড়া গ্রামের আজাদ মৎস্য ও বয়লার মুরগির খামার ঘুরে দেখা গেছে, ঝড়ে খামারটির ২০০ হাত লম্বা একটি ঘর উল্টে গেছে। নিচে থাকা ১৯ দিন বয়সী আড়াই হাজার বয়লার মুরগির মধ্যে ১ হাজার ২০০ বয়লার রাতেই মারা গেছে। এতে খামারমালিক আব্দুস সামাদের পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। ৭০০ গ্রাম ওজনের ওই মুরগিগুলো পরদিন মাটিচাপা দেন তিনি।
খামারের মালিক আব্দুস সামাদ বলেন, ‘প্রায় আট একর জমিতে আমার মৎস্য ও মুরগির খামার রয়েছে। ২০০ হাত ঘরের মধ্যে আড়াই হাজার মুরগির ছিল। আশা ছিল, এসব মুরগির বিক্রি করে লাভবান হব। কিন্তু এক রাতেই আমার সব ধূলিসাৎ করে দিয়েছে কালবৈশাখী ঝড়।’
এ ছাড়া অনন্তরাম মাছুয়াপাড়া গ্রামের আজাদুলের দুই দিন বয়সী ২ হাজার ২০০ এবং মতিন হাজির ১ হাজার ২০০ বয়লার মুরগি এক রাতেই মারা গেছে। হঠাৎ এত বড় ক্ষতি হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন খামারিরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গোটা উপজেলায় প্রায় ৬৮টি খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা এর তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দিয়েছি। কোনো সহায়তা আসলে খামারিদের দেওয়া হবে।’