হোম > সারা দেশ > রংপুর

কুড়িগ্রাম: ট্রেনে কচ্ছপগতির ২০ কিমি

আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম 

কুড়িগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন দিয়ে ধীরগতিতে চলছে ট্রেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রেললাইনে নেই পাথর। অর্ধপচা কাঠের স্লিপার দেবে রয়েছে মাটির ভেতরে। কোথাও কোথাও লাইনের মাঝে ঘাস। দুই লাইনের সংযোগস্থলে চারটির স্থলে দুটি করে নাট-বল্টু। এমন ঝুঁকিপূর্ণ রেলপথে কচ্ছপগতিতে চালাতে হয় ট্রেন। কুড়িগ্রামের উলিপুরের পাঁচপীর স্টেশন থেকে চিলমারীর রমনা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার রেলপথের এমন দৃশ্য।

এই রেলপথটুকু পাড়ি দিতে রমনা লোকাল ট্রেনের ১ ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়। পাঁচপীর থেকে চিলমারীর রমনা রেলস্টেশন পর্যন্ত রেলপথটি দিয়ে শুধু এই লোকাল ট্রেনটিই চলে। এ পথে ঘণ্টায় মাত্র ১৫ কিলোমিটার গতিতে চলে এটি। কখনো এর চেয়েও ধীরগতিতে ট্রেন চালাতে হয়। কুড়িগ্রাম থেকে রংপুর ও পার্বতীপুর রেলপথে এই রমনা লোকাল ট্রেনের স্বাভাবিক গতি থাকে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার।

রেলসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঝুঁকি বিবেচনায় এই রেলপথে ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে গতি নিয়েও ট্রেন চলতে পারে না। ট্রেন চলার সময় দুদিকে দোলে। কোনো কোনো দিন লাইনচ্যুত হয়।

ধীরগতিতে চলার কারণে পাঁচপীর থেকে চিলমারীর রমনা যেতে রেলপথের যেকোনো স্থানে দাঁড়িয়ে থেকে ট্রেনে উঠে পড়ছে দুরন্ত শিশু-কিশোরেরা। রেলপথের যেকোনো স্থান থেকে তারা ইচ্ছেমতো চলন্ত ট্রেনে উঠে আবার নেমে যাচ্ছে। কেউ কেউ চলন্ত ট্রেনের এক বগি থেকে নেমে আরেক বগিতে উঠছে।

লালমনিরহাট রেল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পাঁচপীর থেকে রমনা পর্যন্ত রেলপথের সংস্কারের জন্য এক বছরের বেশি সময় আগে দরপত্র আহ্বান করা হয়। বিশ্বাস কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পার হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শুধু মাটি ভরাট আর কয়েকটি রেলসেতু মেরামত করা হলেও রেললাইন, স্লিপার পরিবর্তন এবং পাথর ফেলার কাজ হয়নি। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারকাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে রেলপথটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

রমনা লোকাল ট্রেনের পরিচালক মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘লাইনের সমস্যা। স্লিপার নেই, পাথর নেই। আমাদেরকে কুড়িগ্রাম থেকে রমনা পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালাতে বলা হয়। এজন্য সময়ও বেশি লাগে।’

তিস্তা থেকে চিলমারী পর্যন্ত রেলপথের দায়িত্বে থাকা লালমনিরহাট রেল বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পিডব্লিউআই) বজলুর রহমান বলেন, ‘এক বছর আগে প্রায় ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে রেলপথ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। রেলপথটির ওয়ার্ক পর্সনের (মাটি ভরাট ও ব্রিজের) কাজ হলেও ওয়ে পর্সনের (লাইন, পাথর ও স্লিপার) কাজ হয়নি। স্লিপার সংকটের কারণে বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে।’

এ বিষয়ে কথা বলতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিশ্বাস কনস্ট্রাকশনের কুড়িগ্রামে থাকা প্রতিনিধি বাবলু মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাঁর নম্বরে কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবু হেনা মোস্তফা আলম বলেন, রেলপথটি আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ। সংস্কারকাজ আগামী অক্টোবর কিংবা নভেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু হতে পারে।

সমাবেশ থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনা, প্রাণ গেল কর্মীর

‘১০ লাখ দিলেই তুমি সভাপতি’ বেরোবি ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে অভিযোগ

‘সেবা বন্ধ থুইয়া মানুষোক জিম্মি করি আন্দোলন করেছে, গরিব মানুষ কোনঠে যাইবে’

স্থগিতাদেশ তুলে ব্রাকসুর নতুন রোডম্যাপ প্রকাশ

একটি শ্রেণি সংস্কার ছাড়াই ক্ষমতায় যেতে ‘ডাবল পাগল’ হয়ে গেছে: রেজাউল করীম

বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার যাত্রী নিহত

পাঁচ দফা দাবিতে রংপুরে সমমনা ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশ আজ, দলে দলে আসছেন নেতা-কর্মীরা

শ্বশুর-জামাইকে পিটিয়ে হত্যায় জড়িতের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

নীলফামারীতে গৃহবধূকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড