পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মহানন্দা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ ধসে পড়ায় হুমকির মুখে পড়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্নার, কেন্দ্রীয় গোরস্থান, কেন্দ্রীয় ঈদগা ময়দান, থানা ভবন ও সরকারি প্রাথমিক মডেল স্কুল, পুরাতম বাজার সহ একাধিক স্থাপনা এই হুমকির মধ্যে রয়েছে।
১৯৯৬-৯৭ অর্থ বছরে এডিবি এর আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ নির্মাণের জন্য সিসি ব্লক নির্মাণ করে। সে সময় ভারতীয় বিএসএফের প্রতিবন্ধকতার মুখে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তড়িঘড়ি কাজ করে ২০০৫-০৬ সালে বাঁধ সংরক্ষণ কাজ সম্পন্ন করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভারতীয় বিএসএফ এর বাঁধার কারণে মহানন্দা নদীর তীর সংরক্ষণ কাজের গুণগত ঠিক না রেখেই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এর ফলে কয়েক বছরের মাথায় নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধের একাধিক অংশে ধসসহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।
তবে পাউবো এর প্রকৌশলীদের বলছেন নদীর তীরে পাথর উত্তোলন করার কারণে তীর সংরক্ষণ বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সাহেব জোত গ্রামের আনারুল ইসলাম, সিদ্দিক নগর গ্রামের তবিরুল ও বিহারী পাড়া গ্রামের মুন্না জানান, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে যদি মহানন্দা নদীর তীর সংরক্ষণ ও ধসে পড়া বাঁধ সংস্কার করা না হলে মহানন্দার প্রবল স্রোতে ঐতিহ্যবাহী তেঁতুলিয়ার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সহ কেন্দ্রীয় গোরস্থান নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, পঞ্চগড় জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদ দৌলা বলেন, তেঁতুলিয়া মহানন্দা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ ধসে পড়ার বিষয়টি ইতিমধ্যে মেরামতের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে প্রকল্পে অধীনে বরাদ্দ পেলে তীর সংরক্ষণ ও মেরামত কাজ শুরু করা হবে।