কাউনিয়া উপজেলার শ্রমিক অধ্যুষিত হারাগাছ পৌরসভার মায়া বাজার হাজী পাড়া গ্রামের রুহিত হাছান বাবু (২৯)। ওই গ্রামের দুলাল মিয়ার একমাত্র ছেলে। পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে প্রায় সাত বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়াতে যান। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি বাড়িতে খবর আসে রুহিত হাছান আর নেই। দীর্ঘ এক মাস ১৯ দিন পর গতকাল শনিবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁর মরদেহ পৌঁছায়। সেখান থেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আজ রোববার দুপুরে হারাগাছ মায়া বাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে রুহিত হাছান বাবুর মরদেহ দাফন করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মোটা অঙ্কের অর্থ ঋণ করে রুহিত হাছান বাবু প্রায় সাত বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান। প্রথম দিকে ভিসা জটিলতায় পড়েন। কিছু দিন পরে টাকা পাঠিয়ে ঋণমুক্ত হয়। যখন সুখের মুখ দেখতে শুরু করে পরিবার তেমন সময় এল দুঃসংবাদ। দক্ষিণ কোরিয়ার ইপিএস বাংলা কমিউনিটি ইন কুরিয়া থেকে জানানো হয়, অসুস্থ রুহিতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর ১ জানুয়ারি আসে মৃত্যুর খবর। রুহিত হাছানের মৃত্যুর খবরে দিশেহারা হয়ে পড়ে পরিবার। বিদেশ থেকে মরদেহ আনতে সৃষ্টি হয় জটিলতা। পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়। সরকার কোরিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে ১ মাস ১৯ দিন পর দেশে আনে রুহিতের মরদেহ।
গ্রামের লোকজন জানান, একবারে সাধারণ ঘরের ছেলে রুহিত হাছান বাবু। ছেলেটি নম্র ও ভদ্র স্বভাবের ছিল। গ্রামের লোকদের সঙ্গে কখনো খারাপ আচরণ করেনি। ছেলেটির অকালমৃত্যুতে পরিবারসহ গ্রামবাসী শোকাহত।