আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এমপি বলেছেন, ‘মানুষের যাতায়াতে মোটরশ্রমিকেরা জীবনবাজি রেখে সেবা করে। তাই যারা এ শ্রমিকদের ঘাতক বলে, আমি তাদের বলব মোটরশ্রমিকেরা ঘাতক না, তাঁরা হচ্ছেন মানুষের সেবক।’
আজ বুধবার রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শাজাহান খান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় যাওয়ার দিবা স্বপ্নে রাস্তায় গাড়িসহ জীবন্ত মানুষ পোড়া আন্দোলন শুরু করে। তাদের পেট্রলবোমার আগুনে ৯২ জন মোটরশ্রমিক মারা গেছেন। তারপরও খেটে খাওয়া মোটরশ্রমিকেরা মানুষের সেবায় নিয়োজিত।’
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন শ্রমিকবান্ধব। তিনি শ্রমিকের কথা ভাবেন এবং শ্রমিকের উন্নয়নে কাজ করেন। শ্রমিকেরা যখনই বিপদে পড়েছে, তখনই শ্রমিকের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। করোনার সময়ে মোটরশ্রমিকদের আলাদা বাজেট দিয়েছেন। বিএনপি-জামায়াতের আগুন-সন্ত্রাসের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ জন্য দেশের সব খেটে খাওয়া শ্রমিকের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী, জেলা মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এ কে এম ছায়াদত হোসেন বকুল, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবুল, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, নগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম।
সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন রংপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ। সভাপতিত্ব করেন রংপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তাজুল ইসলাম মুকুল।